মালয়েশিয়ায় লকডাউন (ঘরে অবরুদ্ধ) কার্যকর শুরু হয়েছে গতকাল বুধবার। কোভিড-১৯ মহামারি ঠেকাতে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির সরকার। কিন্ত দেশটির মন্ত্রিসভার জ্যেষ্ঠ সদস্য ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব বলেছেন, শুধু ৬০ শতাংশ মানুষ মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (এমসিও) মেনে চলছেন।
Advertisement
দেশটির জাতীয় দৈনিক মালয় মেইলের প্রতিবেদন অনুযায়ী তিনি বলেন, দেশের প্রায় অর্ধেক মানুষ সরকারি নির্দেশনা মেনে না চলার কারণে পুলিশ রাস্তা অবরোধ করে পরিস্থিতি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে বাধ্য হয়েছে। গতকাল দেশজুড়ে ৫০৪টি রাস্তা অবরুদ্ধ করে রাখা হয় বলে জানান তিনি।
এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির এই প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, গতকাল যেসব সড়ক অবরোধ করে রাখা হয় এসব সড়কে ৬ হাজার ১৩৫টি যানবাহন আটক করে তা পরীক্ষা করে। প্রথম দিনের মতো পুলিশ উপদেশমুলক অবস্থানেই রয়েছে। কিন্তু এরপর এই উপদেশমূলক অবস্থান পাল্টে অ্যাকশন নেওয়া শুরু করবে তারা।’
এর আগে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকানো ও ভাইরাসটি প্রতিরোধের জন্য মালয়েশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ (এনএসসি) দেশটির সকল নাগরিককে ঘরে থাকার আহ্বান জানায়। কেউ যেন ঘরের বাইরে না যায় সেই অনুরোধও করেছে তারা। কিন্তু সেই অনুরোধ উপেক্ষা করায় চটেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
Advertisement
জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ দেশটির সকল নাগরিককে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে। একে অপরের সঙ্গে কমপক্ষে ১ মিটার (সোয়া তিন ফুটের বেশি) দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হয়েছে। শুধু মৌলিক চাহিদা পূরণ ছাড়া সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার মালয়েশিয়ায় করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রথম দুজনের মৃত্যু হয়। গত ১৬ মার্চ ‘লকডাউন’ ঘোষণা করে দেশটির সরকার। ওইদিন জাতির উদ্দেশে এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মুহিদ্দীন ইয়াসিন এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘১৮ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত এ লকডাউন কার্যকর বলবত থাকবে।’
এসএ/এমকেএইচ
Advertisement