আন্তর্জাতিক

আশার আলো উহানে, নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়নি কেউ

আশার আলো দেখা দিয়েছে উহানে। নতুন করে সেখানে আর কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। করোনার উৎপত্তিস্থল চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে বুধবার আর কারো করোনায় আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি।

Advertisement

গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান শহরেই প্রথম করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপরেই দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস। চীনের বাইরে ১৭৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস।

কয়েক মাস ধরে করোনার সঙ্গে রীতিমত যুদ্ধ করে যাচ্ছে চীন। গত কয়েক মাসে প্রতিদিনই করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছিল। কিন্তু প্রথমবারের মতো বুধবার এই অবস্থার পরিবর্তন চোখে পড়েছে।

ফলে নতুন করে আশার আলো দেখছে উহানের মানুষ। হুবেই প্রদেশের হেলথ কমিশন জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত হুবেই প্রদেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬৭ হাজার ৮শ এবং শুধুমাত্র উহানেই ৫০ হাজার পাঁচজন। তবে বুধবার আর কারো আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি।

Advertisement

চীনে নতুন করে যে ৩৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তারা সবাই বিদেশি নাগরিক। দেশটিতে মৃতের সংখ্যাও কমতে শুরু করেছে। গতকাল চীনে নতুন করে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩ হাজার ২৪৫। চীনে এখন পর্যন্ত ৮০ হাজার ৯২৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। অপরদিকে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছে ৭০ হাজার ৪২০ জন।

তবে চীনে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমলেও অন্যান্য দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছেই। এই তালিকায় এগিয়ে রয়েছে ইতালি। সেখানে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৯৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ৩৫ হাজার ৭১৩ জন। এরপরেই রয়েছে ইরান। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ হাজার ৩৬১ এবং মারা গেছে ১ হাজার ১৩৫ জন। স্পেনে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজার ৭৬৯ এবং মৃত্যু হয়েছে ৬৩৮ জনের।

জার্মানিতে এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১২ হাজার ৩২৭ এবং মারা গেছে ২৮ জন। যুক্তরাষ্ট্রে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ৩৭১ এবং মৃত্যু হয়েছে ১৫৩ জনের।

ফ্রান্সে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ১৩৪ এবং মারা গেছে ২৬৪ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজার ৫৬৫ এবং মৃত্যু হয়েছে ৯১ জনের।

Advertisement

অপরদিকে সুইজারল্যান্ডে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ১১৫ এবং মারা গেছে ৩৩ জন। যুক্তরাজ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ৬২৬ জন এবং মারা গেছে ১০৪ জন।

টিটিএন/এমকেএইচ