একজন ক্রীড়াবীদের পারফরমেন্সটাই আসল। তিনি কত মেধাবী, তার দক্ষতা কতটা, তিনি কতটা ভাল পারফরমার- সেটাই আসল। বিশ্বের অনেক নামি ও দামি ক্রিকেটার, ফুটবলার, হকি খেলোয়াড়, টেনিস তারকা, সাঁতারু, শাটলার, শ্যুটার আছেন- যারা তেমন ইংরেজী জানেন না। ল্যাটিন আমেরিকান ফুটবলারদের অনেকেই ইংরেজি ভাষায় পারদর্শি নন। তারা বরং পর্তুগিজ ও স্প্যানিশ ভাষায়তেই বেশি দক্ষ।
Advertisement
তবে ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে খানিক ব্যতিক্রম। ক্রিকেটারদের বড় অংশ ইংরেজিতেই নিজের মনের ভাব প্রকাশ করেন। মিডিয়ার সাথে তাদের কথোপকোথনের মূল মাধ্যমটা হয় ইংরেজিতেই।
বিশ্বের অনেক ক্রিকেটার শুরুতে ইংরেজি বলা তত দক্ষ ছিলেন না। তবে খেলতে খেলতে নিজের দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি ইংরেজি কথোপকোথনটা আত্মস্থ হরে ফেলেন।
তবে বাংলাদেশের ‘কাটার মাস্টার’ মোস্তাফিজ এখনো সেভাবে ইংরেজিতে কথা বলায় পারদর্শি হয়ে ওঠেননি। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের বয়স পাঁচ বছর পার করে ফেললেও মোস্তাফিজ এখনো ইংরেজিতে মোটেই সাবলিল নন।
Advertisement
ইংরেজিতে কথা বলায় ততটা দক্ষ নন। এ নিয়ে তার নিজের কি কোন আক্ষেপ আছে? ভক্তদের জন্য তথ্য হলো, মোস্তাফিজ একদমই এ নিয়ে মাথা ঘামান না।
প্রশ্ন রাখা হয়েছিল বিশ্বের অনেক ক্রিকেটারই সময়ের সাথে বদলে যান। শুরুতে ইংরেজি না পারলেও পরে বেশ ভালোভাবে রপ্ত করে নেন। কিন্তু আপনি সেভাবে পারছেন না? এমন প্রশ্নের জবাবে মোস্তাফিজের বলা কথার সারমর্ম হলো, এসব নিয়ে তার একটুও আফসোস, হতাশা বা আক্ষেপ নেই। তিনি যেভাবে আছন, তাতেই সন্তুষ্ট।
তাইতো মুখে এমন কথা, ‘আমি যেভাবে আছি সেভাবেই থাকতে পছন্দ করি। অন্য কারো কথা নিয়ে ভাবছি না। বাংলায় কথা বলা এটা আমার মা শিখাইছে ভাই।’
অনূর্ধ্ব-১৯ দলের শরিফুলরা ভালো খেলছে। সেটা আপনার জন্য চাপ কি না? মোস্তাফিজ মোটেই তা ভাবেন না। তার অনুভব, নতুন কেউ উঠে এলে বরং ভাল। তাতে একটা প্রতিদ্বন্দ্বীতা তৈরি হয়। ভাল করার তাগিদও বাড়ে।
Advertisement
‘সে উপলব্ধি থেকেই এমন সংলাপ, আমরা তো আজীবন খেলবো না। আমি ২১ বছর বয়সে ঢুকছি। এখন শরিফুলের বয়স ১৯। আরো দুই বছর যদি খেলি সাত বছর হয়ে যাবে আমার জাতীয় দলের ক্যারিয়ার। মানে পেছনে তো আসা লাগবে কারও। আমাদের জন্য তো ভালো। এখন আমার কথা হল উপরে একটা গোল আছে যে কে থাকবে? যে ভালো করবে সে থাকবে। প্রতিদ্বন্দ্বীতা সবাইকে দিয়ে যদি ভালো হয়, সবার জন্যই ভালো। আমিও চাইবো ভালো করতে, অন্যরাও চাইবে ভালো করতে।’
এআরবি/আইএইচএস/এমএস