বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করেছে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশেও। আজ (বুধবার) একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তারপরও তো জীবনযাত্রা থেমে নেই। পেশাগত কারণ আর পেটের দায়ে ভয়কে পাশ কাটিয়েই কাজ করে যেতে হচ্ছে সবাইকে।
Advertisement
করোনার কারণে বন্ধ আছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। কিন্তু ফিটনেস ধরে রাখতে এরই মধ্যে অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। তাই বলে কি তারা আতঙ্কিত নন? মেহেদী হাসান মিরাজ জানালেন, মাঠে আসলেও একটা আতঙ্ক সবার মধ্যেই কাজ করছে।
মিরাজ বলেন, ‘মাঠে আসতেছি, কিন্তু সবাই একটু আতঙ্কের মধ্যে আছে। একটা মানুষের সাথে দেখা হলে তো আমাদের স্বাভাবিক আচরণ যেটা-হ্যান্ডশেক করা জড়িয়ে ধরা, হয়তো এই জিনিসটা এখন হচ্ছে না বা কম হচ্ছে। কিন্তু তারপরও তো আমরা বাঙালি, আবেগের জায়গা থেকে আমরা জড়িয়ে ধরি, হ্যান্ডশেক করি। তারপরও আমি মনে করি যে যতটুকু নিরাপদ থাকা যায়, সবাই যতটুকু একটু দূরে থাকা যায়। হয়তো খুব তাড়াতাড়ি আল্লাহ রহম করবে। কারণ সবাই দোয়া করছে, আল্লাহ যেন সবাইকে হেফাজত রাখে।’
খেলার চেয়ে জীবন বড়, আগে তো বাঁচতে হবে। মিরাজ মনে করছেন, বিসিবি যা খেলোয়াড়দের জন্য ভালো হবে সেই সিদ্ধান্তই নেবে। তার ভাষায়, ‘আসলে সবার আগে কিন্তু জীবন মরণ। জীবন মরণের চেয়ে তো আর বড় কোন কিছুই হতে পারে না। আগে সেফটি, তারপর সব। আমরা আগে যদি বাঁচতে পারি, তাহলে অবশ্যই ক্রিকেট খেলতে পারব। তারপরও ক্রিকেট বোর্ড আছে, বাংলাদেশের সরকার আছে তারা যে সিদ্ধান্ত নেবেন, অবশ্যই মানুষের ভালোর জন্যই নেবেন। সবাই সেফটি থাকে, সেই ডিসিশনটা তারাই দেবেন।’
Advertisement
এর সঙ্গে মিরাজ আরও একবার বললেন, পাক পবিত্র থাকা এবং নামাজে মনোযোগী হওয়ার কথা। জাতীয় দলের এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘আমি সবাইকে যে মেসেজটা দিতে চাই-সবসময় পাক-পবিত্র থাকাটা খুব জরুরি। থুতু না ফেলাও কিন্তু পাক-পবিত্রতার মধ্যে পড়ে। সব সময় হাত ধোয়ার ভেতরে থাকাটা ভালো। যেমন ঘন্টায় ঘন্টায় বা বাসায় থাকলে বা বাইরে থেকে আসলে হাত ধোয়া। হাত ধোয়ার বিভিন্ন যেসব নিয়ম আছে এই নিয়মগুলো মানাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সবচেয়ে ভালো থেওরি হলো যে, আপনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। তাহলে আপনার আর কিছু লাগবে না আমার মনে হয়। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সবাই পড়বে। তাহলে পাঁচবার হাত ধোয়া হবে, অটোমেটিক তখন আল্লাহর রহমত হবে।’
এমএমআর/এমএস