বিএনপি চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়া দেশে ফিরলে বিদেশি নাগরিক হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বন ও পরিবেশ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. হাছান মাহমুদ। রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে সৈয়দ মহসিন আলী স্মৃতি পরিষদ ও জাতীয় মাসিক প্রিয়বাংলা’র আয়োজনে সদ্য প্রয়াত সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলীর স্মরণে আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। হাছান মাহমুদ বলেন, অচিরেই দুই বিদেশি হত্যাকাণ্ডের আসামিরা ধরা পড়বে। তবে শুধু তাদেরকেই ধরলে হবে না। যারা হত্যাকারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেন, তাদেরকেও গ্রেফতার করতে হবে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া চান না দেশে কোনো উন্নয়ন হোক। বিএনপি-জামায়ত খালেদা‘র নেতৃত্বে দেশে মানুষ পুড়ানোর যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল এর কারণে জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পরও দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র থেকে তারা সরে আসছেন না।আলোচনায় অংশ নিয়ে খাদ্য মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, জামায়াত-বিএনপি দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকে রাজাকারের তালিকা গায়েব করে দিয়েছে, যারা যুদ্ধের সময় ভাতা পেতো। এখন তাদের দুই শীর্ষ পর্যায়ের নেতা মৃত্যুদণ্ডের মুখে রয়েছেন। আশা করছি, তাদের এ রায় কার্যকর হতে যাচ্ছে।শেখ হাসিনার সম্প্রতি অর্জন তুলে ধরে খাদ্য মন্ত্রী বলেন, জাতিকে শেখ হাসিনা উন্নয়নের ছোয়ায় নিয়ে এসেছেন। বিশ্ব দাতারা পদ্মাসেতু থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার পরও হাসিনার নেতৃত্বে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর কাজ চলছে। শেখ হাসিনা ক্রমান্বয়ে বিশ্বে বিশ্ব নেত্রী হিসাবে স্থান করে নিচ্ছেন ও দেশকে তিনি উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন খাদ্যমন্ত্রী। সৈয়দ মহসিন আলী স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সৈয়দ মহসিন আলী জন্য একটি ট্রাস্ট বা ফাউন্ডেশন করা দরকার। এ ব্যাপারে আমি আমার অবস্থান থেকে সর্বাত্বক সহযোগিতা করবো।সৈয়দ মহসিন আলী স্মৃতি পরিষদের আহ্বায়ক গোলাম কবির আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এম. আব্দুল মান্নান, সংসদ সদস্য কেয়া চৌধুরী, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সি এম তোফায়েল, সৈয়দ মহসিন আলীর কন্যা সৈয়দা সানজিদা, কবি কাজী ডলি প্রমুখ।এএস/এসকেডি/পিআর
Advertisement