বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান এশিয়ার শ্রেষ্ঠ গভর্নর সম্মাননা গ্রহণ করেছেন। পেরুর শেরাটন হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সাময়িকী ‘দ্য ইমার্জিং মার্কেটস’ কর্তৃক প্রদত্ত ‘এশিয়ার শ্রেষ্ঠ কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর ২০১৫’ পুরস্কার গ্রহণ করেন। দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পাশাপাশি সামাজিক দায়বোধ সম্পন্ন ও সবুজ অর্থায়ন এবং টেকসই আর্থসামাজিক উন্নয়নে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেব ড. আতিউরকে এ পুরস্কার দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে ইমার্জিং মার্কেটস এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক টবি ফিলদেস ও গ্লোবাল ক্যাপিটালের উপ-পরিচালক রুদ বেড্ডোস ড. রহমানের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন।বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর পুরস্কার গ্রহণ শেষে বাংলাদেশের পরিশ্রমী ও উদ্যমী উদ্যোক্তা, মুক্তিযুদ্ধের শহীদ এবং তার সবসময়ের পরামর্শদাতা ও নির্দেশক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উৎসর্গ করেছেন। যার অব্যাহত সমর্থনে বাংলাদেশ ব্যাংকে উদ্ভাবনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা তার পক্ষে সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া দায়িত্ব ‘রূপকল্প-২০২১’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে দায়িত্ব পালন করার কারণেই তিনি এ পুরস্কার পেয়েছেন। এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রথম সারির নেতৃত্বে অবদান রাখার জন্য জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’ অর্জন করে দেশের সুনাম বৃদ্ধি করেছেন। এছাড়া বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়ন কার্যক্রমে নিরন্তর সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের তার সহকর্মীবৃন্দ এবং আর্থিক খাতের সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান গভর্নর ড. আতিউর রহমান।পুরস্কার গ্রহণকালে ড. আতিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশের মুদ্রা ও আর্থিক খাতের রেগুলেটরি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকে আস্থানির্ভর নীতি-অ্যাপ্রোচ গ্রহণে অগ্রণী ভূমিকা পালনের স্বীকৃতিস্বরূপ আমাকে ২০১৫ সালের জন্য ‘ইমার্জিং মার্কেটস এশিয়ার সেরা কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর’ নির্বাচিত করা হয়েছে। অন্তর্ভুক্তিমূলক সবুজ অর্থায়নসহ প্রকৃত অর্থনীতিতে পরিবেশবান্ধব টেকসই উৎপাদন কর্মকাণ্ডকে প্রাধান্য দিয়ে গৃহীত আমাদের ‘ডাউন টু আর্থ অ্যাপ্রোচ’ বাংলাদেশের অর্থনীতিকে বৈশ্বিক আর্থিক সঙ্কটের বিরূপ প্রভাব থেকে রক্ষা করতে সমর্থ হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ঝুঁকি মোকাবেলা করে ব্যাপকভিত্তিক আর্থসামাজিক অগ্রগতির ওপর জোর দিয়ে গৃহীত এই অভিযাত্রাকে অব্যাহত রেখে।গ্লোবাল ক্যাপিটালের উপ-পরিচালক রুদ বেড্ডোস বলেন, গভর্নর রহমান গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের ৬ শতাংশের ওপরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন, উদ্ভাবনীমূলক আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রমের মাধ্যমে দ্রুত দারিদ্র্য হ্রাস, বিনিময় হারের স্থিতিশীলতা এবং ক্রমবর্ধমান বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংরক্ষণে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখেছেন।তিনি আরো বলেন, তিনি (ড. আতিউর রহমান) যে তার ওপর ন্যস্ত দায়িত্ব পালনকালে মূল স্টেকহোল্ডারদের অনুপ্রাণিত করতে পেরেছেন এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গৃহিত নীতির ওপর তাদের আস্থার প্রতিফলন ঘটাতে পেরেছেন -এ পুরস্কার সেটিরই স্বীকৃতি বহন করে।এসএ/আরএস/পিআর
Advertisement