প্রধানমন্ত্রী-নরেন্দ্র মোদিকে সম্প্রীতি বাংলাদেশের অভিনন্দন

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর প্রাক্কালে দেশের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘মুক্তির মহানায়ক’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে মোদির ভিডিও বার্তাটি প্রচার করা হয়।

বার্তার শুরুতেই তিনি জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সমগ্র দেশকে ১৩০ কোটি ভারতীয় ভাই-বন্ধুদের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে তাকে আমন্ত্রণ জানানোয় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। করোনা ভাইরাসজনিত পরিস্থিতির কারণে ব্যক্তিগতভাবে ঢাকায় আসতে না পারলেও তাকে ভিডিওর মাধ্যমে যুক্ত হওয়ার সুযোগ দেয়ায় তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

মোদি তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুকে একজন সাহসী নেতা, দৃঢ়চেতা মানুষ, ঋষিতুল্য শান্তিদূত, সাম্যের রক্ষক ও জোড়-জুলুমের বিরুদ্ধে ঢাল হিসেবে আখ্যায়িত করেন। বাংলাদেশের তরুনরা আজ তাদের প্রিয় নেতার আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে দেশকে যেভাবে ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায়’রূপান্তরিত করার জন্য দিন-রাত কাজ করে চলেছেন তিনি তার প্রশংসা করেন। পঁচাত্তরের নির্মম হত্যাকাণ্ড থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে ঈশ্বর রক্ষা করায় তিনি নিজেকে এবং বাংলাদেশকে ভাগ্যবান মনে করেন বলে জানান।

আতংক ও সহিংসতাকে রাজনীতি ও কূটনীতির হাতিয়ার করে একটি সমাজ ও জাতি যেখানে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত, সেখানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ যেভাবে অন্তর্ভুক্তিকরন ও উন্নয়নমুখী নীতিমালা অনুসরণ করে এগিয়ে চলেছে তা বিশ্ববাসী দেখতে পাচ্ছে বলে উল্লেখ করে নানা সামাজিক সূচকে অভূতপূর্ব উন্নতি করায় তিনি বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ, লালন শাহ, জীবনানন্দ দাশ ও ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মত মনীষীরা ভারত ও বাংলাদেশের গভীর সম্পর্কের ক্ষেত্রে অভিন্ন ঐতিহ্যের ভিত্তি বলে মোদী তার বক্তব্যে জানান।

আগামী বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশতম আর তার পরের বছর ভারতের স্বাধীনতার পঁচাত্তরতম বার্ষিকীতে এই দু’দেশের মধ্যে বিরাজমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় উন্নীত হবে বলেও তিনি তার বক্তব্যে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশের জাতির পিতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভিডিও বার্তাকে স্বাগত জানিয়েছে সম্প্রীতি বাংলাদেশ। সংগঠনটির আহবায়ক পীযুষ বন্দোপাধ্যায় ও সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল) এক বিবৃতিতে নরেন্দ্র মোদিকে এ জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির সুযোগ্য ও দূরদর্শী নেতৃত্ব বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক আগামীতে বিশ্ববাসীর সামনে এক অনন্য নজির হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।

এএইচ/এমএস