ব্রিটিশ মালিকানাধীন প্রমোদতরী ‘এম এস ব্রেইমার’কে নিজেদের উপকূলে নোঙ্গর করিয়ে যাত্রীদের চিকিৎসা দিয়ে দেশে ফেরত পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার মধ্যস্থলে অবস্থিত দ্বীপরাষ্ট্র কিউবা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
Advertisement
প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রায় সাতশ যাত্রী নিয়ে ক্যারাবিয়ান অঞ্চলে ঘোরা অবস্থায় প্রমোদতরীটির পাঁচজন যাত্রীর শরীরে প্রাণঘাতীর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর থেকে আশেপাশের কোনো দেশের বন্দর তাদের নোঙর করতে দিচ্ছিলো না। অবশেষে কিউবা তাতে রাজি হলো।
কিউবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রদ্রিগেজ টুইট বার্তায় বলেন, ব্রিটিশ গভর্নরের অনুরোধে কিউবা এমএস ব্রেইমারকে দেশের উপকূলে (ডকে) নোঙ্গর করার জন্য অনুমতি দিয়েছে—যেখানে অল্পসংখ্যক যাত্রীকে কোভিড-১৯ রোগে সনাক্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং কিউবা প্রজাতন্ত্রের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রোটোকলগুলোতে প্রতিষ্ঠিত স্বাস্থসেবাগুলো যাত্রী এবং ক্রুদের জন্য গৃহীত হবে।’ এর অর্থ বন্দরে নোঙ্গর করার পর প্রমোদতরীর সকল যাত্রীকে নামিয়ে যথাযথ চিকিৎসা সুবিধা দিয়ে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।
Advertisement
চিকিৎসাসুবিধাকে বৈশ্বিক মানবাধিকার ভাবে কিউবা। ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে আলোচনার সময় তাই তারা বলেছে, মানবিক কারণেই তারা প্রমোদতরীটিকে তাদের বন্দরে নোঙ্গর করার অনুমতি দিয়েছে। এদিকে নিকারাগুয়ায় করোনা আক্রান্তদের সেবার জন্য চিকিৎসক ও ওষুধ পাঠিয়েছে দেশটি।
Tras solicitud del gob británico, #Cuba ha autorizado atraque en el país el crucero MS Braemar, con pequeño número de viajeros diagnosticados con #Covid_19. Se adoptarán medidas sanitarias establecidas en protocolos de OMS y @MINSAPCuba para recibir a los pasajeros y tripulación
— Bruno Rodríguez P (@BrunoRguezP) March 16, 2020সিএনএন এর হাভানা প্রতিবেদক প্যাট্রিক অপাম্যান প্রথম নিশ্চিত করেন যে, প্রমোদতরীটিকে দেশের উপকূলে নোঙ্গর করার অনুমতি দিয়েছে কিউবা সরকার। তার দেওয়া তথ্যমতে কিউবার সরকার বলছে, বৈশ্বিক এই মহামারি মোকাবিলা ও এর বিস্তার রোধে যৌথভাবে সবাইকে কাজ করতে হবে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আজ বুধবার পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ৭ হাজার ৯৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১ লাখ ৯৯ হাজার ১৮৪। তবে কিউবায় ৭ জন করোনায় আক্রান্ত হলেও তাদের সবাই এখন সুস্থ রয়েছেন। নতুন করে আক্রান্তের ঘটনাও ঘটছে না দেশটিতে।
Advertisement
এসএ/এমএস