যুক্তরাষ্ট্রের সবগুলো অঙ্গরাজ্যেই হানা দিয়েছে করোনাভাইরাস। ওয়েস্ট ভার্জিনিয়াতে প্রথমবারের মতো একজনের করোনায় আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। সেখানকার মেয়র জিম জাস্টিস বলেন, আমরা জানতাম এটা আসছে।
Advertisement
এদিকে, নিউইয়র্ক বলছে তারা সান ফ্রান্সিসকোর পথে হাঁটতে পারে। ইতোমধ্যেই সানফ্রান্সিসকো অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। সেখানকার দোকান-পাট, স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয় সব বন্ধ রাখা হয়েছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে প্রায় ৬ হাজার মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ১০৫ জন। তবে ওয়ার্লওমিটারের পরিসংখ্যান বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে ৬ হাজার ৪৮৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ১১২ জন।
নিউইয়র্কের মেয়র বিল ডে ব্লাসিও বলেছেন, নগরীর ৮৫ লাখ বাসিন্দাকে বাড়িতেই অবস্থানের নির্দেশ দেওয়া হবে কি-না সে বিষয়ে তিনি দু'দিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেবেন।
Advertisement
এর ফলে বিশাল জনগোষ্ঠীকে বাড়িতেই অবস্থান করতে হবে। শুধুমাত্র ওষুধ বা প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য তারা বের হতে পারবেন। মেয়র ডে ব্লাসিও বলছেন, এটা খুব খুব কঠিন একটা সিদ্ধান্ত। আমরা এমন পরিস্থতিতে আগে কখনও পরিনি। আমি নিউইয়র্ক শহরের ইতিহাসে এমন কিছু আগে শুনিনি।
অপরদিকে সান ফ্রান্সিসকো বে এলাকার ৬৭ লাখ বাসিন্দাকে বাড়িতেই থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আগামী ৭ এপ্রিল পর্যন্ত কাউকে বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
পেন্টাগনের প্রধান মার্ক এসপার বলেছেন, স্বাস্থ্য বিভাগকে ৫০ লাখ রেসপিরেটর মাস্ক এবং ২ হাজার ভেন্টিলেটর সরবরাহ করবে মার্কিন সেনাবাহিনী।
তিনি আরও বলেন, সেনাবাহিনী ১৪টি করোনাভাইরাসের ল্যাব চালু করবে। সেখানে বেসামরিক লোকজনের করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করা হবে।
Advertisement
টিটিএন/জেআইএম