হোম কোয়ারেন্টাইন নয়, বিদেশফেরত বাংলাদেশিদের জোরপূর্বক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদুর রহমান খান।
Advertisement
তিনি জাগো নিউজকে বলেন, সরকার শুরু থেকেই হোম কোয়ারেন্টাইনের কথা বলে আসছে, যার ফল আমরা দেখতে পাচ্ছি। ইতোমধ্যে বিদেশফেরতদের মাধ্যমে কয়েকজন নারী ও শিশু আক্রান্ত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ভয়াবহ করোনাভাইরাস। এখন পর্যন্ত ১০ জন বাংলাদেশি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)।
সরকারের পক্ষ থেকে দেশে ফেরা প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হলেও তারা সেটা মানছেন না। এমন পরিস্থিতিতে বিদেশফেরতদের হোম কোয়ারেন্টাইনের পরিবর্তে জোরপূর্বক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের দাবি জানান বিশ্লেষকরা।
Advertisement
জাহিদুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি, বিদেশফেরতদের অধিকাংশই নিয়মকানুন মেনে চলছেন না। এ কারণে আমরা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কোয়ারেন্টাইন করার কথা বলছি।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে হোম কোয়ারেন্টাইনে কাজ হবে না। আইন প্রয়োগ করতে হবে। অন্যথায় এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব হবে না।’
ডা. জাহিদ বলেন, আমাদের সক্ষমতা নেই এমন নয়। দেশে বহু স্থাপনা আছে। হোস্টেল রয়েছে, চালু হয়নি এমন হাসপাতাল রয়েছে। সরকার চাইলেই সেখানে বিদেশফেরতদের কোয়ারেন্টাইনে রাখতে পারে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভবন হতে হবে এমন কোনো কথা নেই।
জাহিদুর রহমান বলেন, ইতোমধ্যে বিদেশ থেকে ফ্লাইট আসা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে হয়তো কয়েক হাজার মানুষকে কোয়ারেন্টাইনে রাখার প্রয়োজন হবে। আর সেটাও মাত্র ১৪ দিন। এটা খুব বেশি কঠিন কিছু নয়। সবার প্রথমে সেটা সরকারকে ভাবতে হবে। এখন পর্য্ন্ত সরকারের মধ্যে সে ভাবনা দেখা যায়নি।
Advertisement
করোনাভাইরাসের প্রেক্ষাপটে স্কুল কলেজসহ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে তিনি বলেন, সরকার উপযুক্ত সময়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মেডিকেল কলেজের ক্লাসও বন্ধের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য তো জনসমাগম না করা। মেডিকেল কলেজে এই ধরনের জনসমাগম হয়। ফলে সেখানকার শিক্ষার্থীদের ক্লাসও বন্ধ করা উচিত।
জেপি/এমএসএইচ/এমএস