করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ১৫ দিনের নির্দেশনা জারি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এসব নির্দেশনায় ১০ জনের বেশি জনসমাগম না হওয়া এবং স্কুল-রেস্তোরাঁ বন্ধের বিষয়ে বলা হয়েছে। ১৫ দিন পর এসব নির্দেশনায় পরিবর্তন আসতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
Advertisement
হোয়াইট হাউসের ব্রিফিং রুমে সোমবার এ নির্দেশনা দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। দুই পৃষ্ঠার এই নির্দেশনার শিরোনাম দেয়া হয়েছে-‘ফিফটিন ডে’স টু স্লো দ্য স্প্রিড’।
ট্রাম্প বলেন, সংক্রমণ থামাতে আমাদের প্রত্যেকের সংকটপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। একই সঙ্গে, এই ভাইরাস গ্রীষ্মকাল পর্যন্ত থেকে যেতে পারে বলে সতর্ক করে দেন তিনি। তিনি বলেন, ‘মানুষ বলছে (করোনাভাইরাস) জুলাই, আগস্ট বা এ জাতীয় (সময় পর্যন্ত থাকবে)। তবে এটা সেই সময় পর্যন্ত থাকবে যেখানে এটি ধুয়ে সাফ হয়ে যায়।’
দুই পৃষ্ঠার এই নির্দেশনায় আমেরিকান জনগণকে বার, রেস্তোরাঁ ও ফুড কোর্টে খাবার বা পানীয় না খাওয়া এবং এসব পরিবহন না করার পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়া আক্রান্ত এলাকায় স্কুল বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
Advertisement
১৫ দিন পর এই নির্দেশনায় পরিবর্তন আসতে পারে জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। (এটা বাদে) আমরা অন্য সিদ্ধান্ত পেতে পারি।’
তবে অন্যান্য দেশের মতো পুরো দেশজুড়ে লকডাউনের কথা বলেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এ তিনি বলেন, ‘এই বিষয়টি পুরো দেশজুড়ে নয়... কিন্তু আমরা কিছু জায়গা দেখতে পারি, নির্দিষ্ট হটস্পট...।’
করোনা মহামারি মোকাবিলায় প্রায় দুই মাসের জন্য সব ধরনের জনসমাগম বা অনুষ্ঠান বাতিলের পরমর্শ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি)। ইতোমধ্যেই বেশ কিছু রাজ্য ও শহরে ক্যাফে, বার বা রেস্টুরেন্টে জনসমাগত সীমিত করা হয়েছে। অন্তত ৩২টি রাজ্যের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
করোনা আতঙ্কে লাস ভেগাসের বেশ কিছু রিসোর্ট, ক্যাসিনো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। নিউইয়র্কের সব নাইটক্লাব, মুভি থিয়েটার ও কনসার্ট ভেন্যু বন্ধ করে দিয়েছে শহর কর্তৃপক্ষ। বলা হয়েছে, সেখানকার রেস্টেুরেন্ট, বার ও ক্যাফেগুলো থেকে খাবার শুধু ডেলিভারি নেয়া যাবে, কেউ জায়গাগুলোতে বসে খেতে পারবেন না।
Advertisement
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। গত শুক্রবার দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ জরুরি অবস্থা ঘোষণা দেন।
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কার্যক্রমে পুরোপুরি অচলাবস্থা (ফুল শাটডাউন) নেমে আসতে পারে বলে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এমনকি করোনার কারণে দেশটিতে যে সংকট তৈরি হয়েছে তা দুই মাস পর্যন্ত চলতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বাসভবন হোয়াইট হাউসের করোনাভাইরাস বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউসি এমন আশঙ্কা করেছেন।
সূত্র : ডেইলি মেইল
এসআর/জেআইএম