আন্তর্জাতিক

করোনা রোধে ‘যুদ্ধকালীন অ্যাকশন’ দরকার : নিউইয়র্ক মেয়র

বৈশ্বিক মহামারিতে রূপ নেয়া করোনাভাইরাসের হাত থেকে নাগরিকদের প্রাণরক্ষায় ‘যুদ্ধকালীন অ্যাকশন’ দরকার বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির মেয়র বিল ডে ব্লাসিও। আসছে দিনগুলোতে এ ভাইরাস আরও মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে উল্লেখ করে মেয়র নগরবাসীকে ‘এই বাস্তবতায় লড়াই’ করতে প্রস্তুত থাকার সতর্কতাও দিয়েছেন।

Advertisement

সোমবার (১৬ মার্চ) এমএসএনবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মেয়র বলেন, এই সংকট এপ্রিল-মে মাসের দিকে আরও তীব্রতর হতে পারে। সেজন্য আমি চাই, জনগণ যেন এই বাস্তবতা মেনে নিয়েই বাঁচতে শেখে।

করোনাভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত চার হাজার ৬৬৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৮৭ জন। ইতোমধ্যেই দেশটির অন্তত ৪৯টি রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দেশটিতে।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে যে হারে করোনায় মৃতের সংখ্যা বাড়ছে তাতে অন্তত এক মিলিয়ন (১০ লাখ) নাগরিক আক্রান্ত হতে পারেন।

Advertisement

এর আগে রোববার (১৫ মার্চ) এক টুইটার বার্তায় মেয়র ডে ব্লাসিও নিউইয়র্কের স্কুল, বার, রেস্তোরাঁসহ অন্যান্য স্থানে জমায়েতে বিধিনিষেধ আরোপ করেন।

মেয়র বলেন, বার, রেস্তোরাঁসহ যেসব স্থানে আমরা আড্ডা দেই বা জমায়েত হই, সেখানে ঘনিষ্ঠ মিথষ্ক্রিয়ার ফলে এ ভাইরাস তীব্র গতিতে ছড়াতে পারে। তাই এ ধরনের জমায়েতস্থল মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে বন্ধ থাকবে।

বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত শহরের এই মেয়র বলেন, আমরা সামান্য কারণে এই সিদ্ধান্ত নেইনি। যেসব জায়গা বন্ধের কথা বলছি, সেই জায়গাগুলো আমাদের শহরের প্রাণ। একজন নিউইয়র্কারের পরিচয়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ এসব জায়গা। কিন্তু আমাদের শহর এখন এক নজিরবিহীন হুমকিতে পড়েছে, যুদ্ধকালীন মানসিকতায় এর মোকাবিলা করতে হবে আমাদের।

নিউইয়র্কাররা এই পরিস্থিতি উতরে উঠবেন, এমন প্রত্যাশা করে মেয়র বলেন, নিজেদের এবং নিকটজন ও প্রতিবেশীদের কল্যাণে আমাদের যা যা করা লাগে তা-ই করতে হবে।

Advertisement

চীনের উহান শহরে প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাস বিশ্বের ১৬২টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে বিশ্বব্যাপী ৭ হাজার ১৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিভিন্ন দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৮২ হাজার ৫৫০। অপরদিকে, হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭৯ হাজার ৮৮১ জন।

এইচএ/জেআইএম