করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবে বিপর্যস্ত ইউরোপের দেশ ইতালি। এ ভাইরাসের মহামারি ঠেকাতে নানা পদক্ষেপের অংশ হিসেবে দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
Advertisement
কিন্তু এ আইন অমান্য করায় দেশটির প্রবাসী নয় বাংলাদেশিকে আটক করেছে পুলিশ। জরিমানাও করা হয়েছে তাদের।
চীনের পর করোনাভাইরাসের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি ইতালিতে। দেশটিতে প্রতিদিনই হু-হু করে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন তিন হাজার ২৩৩ জন। মারা গেছেন ৩৪৯ জন।
করোনার মহামারি ঠেকাতে ইতালির সব শহরের প্রবেশদ্বারে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। কাউকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না এক শহর থেকে অন্য শহরে। মাইকিং করে ঘর থেকে বের না হওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে নাগরিকদের।
Advertisement
এই আইন অমান্য করলে জরিমানা হিসেবে ২০৬ ইউরো ধার্য করা হয়েছে। একইসঙ্গে তিন মাস থেকে ২১ বছর পর্যন্ত জেল দেয়ার কথা বলা হয়েছে। নিজ দেশের নাগরিকদের সঙ্গে প্রবাসীদের জন্যও এ আইন কার্যকর করা হয়েছে।
ইতালি সরকারের জারি করা এ আইন অমান্য করায় নয় বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। নাপোলির মেয়র ভিনসেনজো কাতাপানো সিনডাকো এ তথ্য নিশ্চিত করেন। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় ইতালির নাপোলির সান জুসেপ্পে ভেসুভিয়ানো এলাকা থেকে তাদের আটক করে দেশটির পুলিশ।
স্থানীয় পৌর প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আটক বাংলাদেশিরা জরুরি প্রয়োজন ও খাদ্যসামগ্রী কিনতে ঘর থেকে বের হয়েছিলেন। তবে তারা এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি।
নাপোলি পুলিশ বলছে, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, জরুরি অবস্থার আওতায় কোনো ব্যক্তিকে বাইরে বের হতে হলে সুনির্দিষ্ট কারণ দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে। কিন্তু যারা আটক হয়েছেন তারা কোনো অনুমোদনপত্র বা কারণ দেখাতে পারেননি।
Advertisement
এছাড়া তারা রাষ্ট্রীয়ভাবে নির্দেশিত একে-অপর থেকে এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখেননি।
পুলিশ আরও জানায়, দেশটির আইন অনুযায়ী ৬৫০ ধারায় ওই নয়জনকে আটক করা হয়েছে। একইসঙ্গে সরকারি আইন লঙ্ঘণ করায় জনপ্রতি ২০৬ ইউরো জরিমানা করা হয়েছে। তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি-না, তা যাচাইয়ে জন্য দুই সপ্তাহের জন্য হাসপাতালে কোয়ারেনটাইনে রাখা হয়েছে।
নাপোলির মেয়র ভিনসেনজো কাতাপানো সিনডাকো ফেসবুক পেজে নয় বাংলাদেশিকে আটকের খবর জানিয়ে তিনি তাদের তিরস্কার করেন। বলেন, সরকারি নির্দেশনা অমান্য করায় তাদের প্রতি নিন্দা জানাচ্ছি। তাদের ১৪ দিন কোয়ারেনটাইনে থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ইতালিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগযোগ করার চেষ্টা করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এমআরএম