জাতীয়

‘মুজিববর্ষ-১০০’ নামে নতুন ক্যালেন্ডারের মোড়ক উন্মোচন

ঘটনার ক্রমানুসারে ১২ মাসের নাম দিয়ে নতুন বর্ষপঞ্জী ‘মুজিববর্ষ-১০০’ নামে নতুন ক্যালেন্ডারের মোড়ক উন্মোচন করলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কেএম আলী আজম।

Advertisement

সোমবার সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে কেন্দ্রীয় তহবিল, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে প্রণীত ‘মুজিববর্ষ -১০০’ শীর্ষক ক্যালেন্ডারের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

শ্রম সচিব বলেন, এ ক্যালেন্ডার উদ্বোধন এ জাতির জন্য মাইলফলক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু আমাদের ধ্রুব তারার মতো। তাকে স্মরণ করেই জাতি এ দেশকে এগিয়ে নেবে। নতুন এই ক্যালেন্ডারে লিপিয়ার ছাড়া ১২টি মাস রয়েছে। বার মাসের নাম দেয়া হয়েছে- স্বাধীনতা, শপথ, বেতারযুদ্ধ, যুদ্ধ, শোক, কৌশলযুদ্ধ, আকাশযুদ্ধ, জেলহত্যা, বিজয়, ফিরে আসা, নবযাত্রা এবং ভাষা।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন আগামীকাল রাত ৮টা থেকে জাতির পিতার জন্ম ক্ষণগণনা শুরু হবে। তার আগেই এই ক্যালেন্ডার উন্মোচন হলো। এছাড়া ক্যালেন্ডারের ত্রুটি বিচ্যুতিগুলো সমন্বয় করা হবে। জাতির পিতার জন্মক্ষণকে উপলক্ষ করে যে অনুষ্ঠান উদযাপন করতে যাচ্ছি এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পেরেছি। সবার কাছে প্রার্থনা আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা একদিন বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করবে।

Advertisement

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় তহবিলের মহাপরিচালক ড. আনিসুল আওয়াল বলেন, আমরা পৃথিবীর অনেক আধুনিক ক্যালেন্ডারকে উপজীব্য করে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে একটা ক্যালেন্ডার তৈরি করেছি। যেহেতু বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানের জন্মশতবার্ষিকী আগামীকাল। এই দিন ও ক্ষণগণনা করে আমরা ১৭ মার্চকে আমাদের ক্যালেন্ডারে এক তারিখ ধরে একটি নতুন ক্যালেন্ডারের প্রত্যাবর্তন করতে যাচ্ছি। যা পৃথিবীর ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এই ক্যালেন্ডার আগামী বছর ছাপা হবে ১০১ মুজিববর্ষ হিসাবে। যা যুগ থেকে যুগান্তরে কাল অতিক্রম করে যাবে বলে বিশ্বাস করি। এই ক্যালেন্ডারটি বাংলা ও ইংরেজিতে করা হয়েছে। এই ক্যালেন্ডার বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো ফোর-ইন-ওয়ান।

লিপিয়ার মাস কীভাবে সমন্বয় করবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই ক্যালেন্ডারে কোনো লিপিয়ার নেই। প্রতিটা মাসকে এমনভাবে ধরা হয়েছে যেখানে লিপিয়ার মাস ২৮ দিনই থাকবে যুগ থেকে যুগান্তর। ফলে এখানে ২৯ দিনে মাস আসবে না। কিন্তু ৩৬৫ দিন হিসাবে বছর গণনা করা হবে। আগামীকাল ইংরেজিতে ১৭ মার্চ আর মুজিববর্ষ হিসেবে বছরের প্রথম দিন। আমরা ১৭ তারিখ থেকে এক দুই তারিখ হিসাবে গুণে ৩৬৫ দিন করা হয়েছে, এটার কোন ব্যত্যয় ঘটবে না। কিন্তু ইংরেজিতে কয়েক ঘণ্টা বেশি থাকে তাই চার বছর পর পর একদিন বেড়ে যায়। আমরা অনেক আধুনিক ক্যালেন্ডার মেনে এটা তৈরি করেছি। এই ক্যালেন্ডারে ওই দিনের কোনো পরিবর্তন হবে না।

নতুন এই ক্যালেন্ডার অনুযায়ী তাহলে আগামী বছর ১৭ মার্চ আর বছরের প্রথম দিন হবে না, ২৬ তারিখে স্বাধীনতা দিবস হচ্ছে না, ২১ তারিখে আর ভাষা দিবস হবে না এ বিষয়টি কীভাবে সমন্বয় করবেন শ্রম সচিবের এমন প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় তহবিলের মহাপরিচালক বলেন, বাংলা ক্যালেন্ডার আধুনিকায়ন করতে হাজার বছর লেগেছে। তবে এখন এটা প্রকাশ করা হলো। মাঠে যাক অনেক জ্ঞানীগুণী পণ্ডিত ব্যক্তিরা দেখুক। তারা মতামত বা সাজেশন দিলে প্রয়োজন হলে পর্যায়ক্রমে সংশোধন করা যাবে। চার বছর পর পর যে লিপিয়ার হয়। সেখানে আমাদের সময়ের ব্যবধান ৬ ঘণ্টা। সেটা সমন্বয় করার জন্য কাজ চলছে। তবে মুজিববর্ষের এক তারিখ ১৭ মার্চ হবে। এজন্য আমাদের আরও চিন্তা করতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মোল্লা জালাল উদ্দিন, ড. রেজাউল হক, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায়, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি ফজলুল হক মন্টু এবং কেন্দ্রীয় তহবিলের মহাপরিচালক এবং এ ক্যালেন্ডারের রূপকার ড. আনিসুল আওয়ালসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

Advertisement

এমইউএইচ/জেএইচ/জেআইএম