দেশজুড়ে

গোপালগঞ্জের সবাই বঙ্গবন্ধুর ভক্ত : শেখ সেলিম

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও গোপালগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের ২৩ বছরের শোষন বঞ্ছনা ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছিলেন। এসময় তাকে ১৩ বছর কারাগারে থাকতে হয়েছে। তিনি একটি নিরস্ত্র জাতিকে সশস্ত্র সংগামে ডাক দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সেদিন এদেশের তরুণ, যুবক, ছাত্র, শ্রমিকসহ মেহনতি মানুষ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। নয় মাসের যুদ্ধে পাকিস্তানিদের শোচনীয় পরাজয়ের মধ্য দিয়ে জম্ম হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।

Advertisement

সোমবার বিকেলে গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস চত্বরে ই-পাসপোর্ট কর্মসূচির উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে সাহস পাইনি। বঙ্গবন্ধু যখন দেশ পুণর্গঠনে আত্মনিয়োগ করেন তখন স্বাধীনতা বিরোধী একটি গোষ্ঠী যারা বাংলাদেশকে মেনে নিতে পারেনি বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে হত্যা করে। তারা বাংলাদেশকে একটি সাম্প্রদায়িক মিনি পাকিস্তান বানানোর উদ্দেশে ইতিহাস বিকৃতি করে জাতির পিতার নাম নিশানা পর্যন্ত মুছে ফেলার চেষ্টা করে। কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ছিলেন নিজে নিজেই প্রতিষ্ঠিত। তিনি নিজেই ছিলেন একটি ইতিহাস। ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুকে কোনোদিনও মুছে ফেলা যাবে না।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীরা ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে। গোপালগঞ্জের সবাই বঙ্গবন্ধুর ভক্ত। তারপরও এখানে মুফতি হান্নানদের মতো কুলঙ্গারদের জম্ম হয়েছে। সকলকে এসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। বঙ্গবন্ধুর শততম জম্মবার্ষিকীতে দাঁড়িয়ে আমরা একটি উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিরালসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন মানুষের খাদ্য,বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানসহ ৫টি মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে। যেখানে মানুষের কোনো কষ্ট থাকবে না। মানুষ সম্মান ও আত্মমর্যাদা নিয়ে মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকবে।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন অসাম্প্রদায়িক মানুষ। তার কাছে হিন্দু মুসলমান কোনো ভেদাভেদ ছিল না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের একমাত্র আঙ্গীকার।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খান, এনডিসি।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহপরিচালক মেজর জেনালের মো. শাকিল আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলী খান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ লুফর রহমান বাচ্চু, পৌর মেয়র কাজী লিয়াকত আলী লেক, প্রমুখ।

হুমায়ূন কবীর/এমএএস/জেআইএম

Advertisement