কারোনা ভাইরাস সংক্রমণের ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম জেলা এই মুহূর্তে সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে আছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বী মিয়া। তিনি জানান, বর্তমানে চট্টগ্রামে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ২৯ জন। এদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে ৮ জনকে।
Advertisement
সোমবার চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ‘হাম-রুবেলা টিকাদান ক্যাম্পেইনের ২০২০’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
সিভিল সার্জন রাব্বী মিয়া বলেন, ‘চট্টগ্রাম জেলা এই মুহূর্তে সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে আছে। কারণ আমাদের দুটি বন্দর, একটি বিমানবন্দর ও অপরটি সমুদ্রবন্দর। দুটি বন্দর দিয়েই সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এন্ট্রি পয়েন্টেই যদি সংক্রমণকারীকে ঠেকিয়ে দেয়া না যায়, তাহলে পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘শাহ আমানত বিমানবন্দরে ইতোমধ্যেই থার্মাল স্ক্যানার বসানো হয়েছে। এছাড়া সমুদ্রবন্দরে হ্যান্ড থার্মাল স্ক্যানারের মাধমে পরীক্ষা করা হচ্ছে। সাধারণত একজন করোনা আক্রান্ত রোগীর উপসর্গ দেখা দিতে ২ থেকে ১৪ দিন সময় লাগে। তাই বিমানবন্দরে স্ক্রিনিংয়ে করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তি বেরিয়েও যেতে পারে। এসব কারণে আমরা বিমানবন্দর থেকে প্রতি মুহূর্তে আপডেট তথ্য নিচ্ছি এবং প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে কাজ করছি।’
Advertisement
এছাড়া করোনা আক্রান্ত দেশ থেকে আগত প্রবাসীদের কারও যদি শরীরে তাপমাত্র পাওয়া যায় তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই বিমানবন্দর থেকে তাকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান সিভিল সার্জন।
চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টার পরিস্থিতি তুলে ধরে শেখ ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, ‘গতকাল সকাল ৮ টা থেকে আজ সকাল ৮ টা পর্যন্ত ৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এর আগে চট্টগ্রামে হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিল ২১ জন। কোনো প্রবাসী যদি হোম কোয়ারেন্টাইন না মানেন তবে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হবে।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্দেহভাজন ছয়জন করোনামুক্ত জানিয়ে সিভিল সার্জন বলেন, ‘সেই ৬ যুবক করোনা ভাইরাসমুক্ত। আমরা পরীক্ষা করে কোনো আলামত পায়নি। তাদের মধ্যে ইতালিফেরত যুবক ছাড়া অন্য পাঁচজনকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। আর ইতালি থেকে আসা যুবকের ১৩ দিন অতিবাহিত হওয়ায় তাকে একদিন কোয়ারেন্টাইনে থাকা লাগবে।’
আবু আজাদ/জেএইচ/এমকেএইচ
Advertisement