করোনা ভাইরাসের কারণে দেশের পর্যটন খাত বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়লেও বিশ্বের সব দেশের নাগরিকদের জন্য বাংলাদেশে প্রবেশে অন-অ্যারাইভাল ভিসা বন্ধের সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক বলছে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)।
Advertisement
তবে ক্ষতি পুষিয়ে দিতে সরকারের কাছে ভর্তুকি দাবি করে বিশেষ তহবিল গঠন করতে বলেছে সংগঠনটি। সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানানো হয়।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করায় এবং বিভিন্ন দেশে মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বিশ্বের সব দেশের নাগরিকদের জন্য বাংলাদেশে প্রবেশে অন-অ্যারাইভাল ভিসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গত শনিবার (১৪ মার্চ) রাতে এ ঘোষণা দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
অন-অ্যারাইভাল ভিসা বন্ধ করার পাশাপাশি আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত ইউরোপ ও করোনা আক্রান্ত দেশগুলো থেকে বাংলাদেশে কেউ আসতে পারবেন না বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
Advertisement
মন্ত্রী অন-অ্যারাইভাল ভিসা বন্ধের ঘোষণা দেয়ার দুই দিনের মাথায় আজ সংবাদ সম্মেলনে আসে পর্যটন খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।
সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেয়া হয়, করোনা ভাইরাসের কারণে টোয়াজ আয়োজিত ১০ম শেয়ারট্রিপ বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার (বিটিটিএফ) ৩-৪ এপ্রিলের পরিবর্তে ২৯-৩১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে।
করোনা ভাইরাসের কারণে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় পর্যটন খাত বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে জানিয়ে সংগঠনটির সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান বলেন, পর্যটনের ভরামৌসুমে করোনা ভাইরাস এসেছে। পর্যটন মৌসুমে আমাদের সাড়ে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়। করোনা ভাইরাসের কারণে পর্যটন খাতে কী পরিমাণ ক্ষতি হবে তা বলা সম্ভব না। তবে ৮০ শতাংশের মতো ট্যুর বাতিল হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে অন-অ্যারাইভাল ভিসা বন্ধের যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে জাতীয় স্বার্থে আমরা তা যৌক্তিক মনে করি। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এলে আবার সবকিছু চালু করতে হবে।
Advertisement
এ সময় তিনি বলেন, করোনার কারণে ট্যুর বাতিল হওয়ায় ট্যুর অপারেটররা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কারণ সব লোকসান আমাদের বহন করতে হচ্ছে। এ কারণে আমাদের ভর্তুকি দিতে হবে। এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ তহবিল গঠন করতে হবে।
এছাড়া সহজ সুবিধায় ও কম খরচে ভিসা দেয়া, বন্দর ও বিমানবন্দরগুলোতে অপ্রয়োজনীয় বিধিনিষেধ শিথিল করা, পর্যটকদের ওপর আরোপিত ট্যাক্স কমানো, ভ্রমণ স্থানগুলো প্রচারে বরাদ্দ বাড়ানো, বিমানের টিকেটের ট্যাক্স কমানো, সরকারের পক্ষ থেকে ট্যুর অপারেটরদের ইনসেনটিভ দেয়া এবং সহজ শর্তে ঋণ দেয়ার দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদ, টোয়াবের সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজদ, পরিচালক আনোয়ার হোসেন, মো. সাহেদ উল্লাহ প্রমুখ।
এমএএস/এনএফ/এমকেএইচ