দেশে আরও তিন জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৮ জন।
Advertisement
সোমবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা করোনাভাইরাস-সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানান।
ডা. ফ্লোরা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০ জনের নমুনা শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। অর্থাৎ দেশে নতুন করে আরও তিন জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত তিন জনের মধ্যে একটি ছেলে শিশু, একটি মেয়ে শিশু এবং অপরজন নারী। এদের মধ্যে একজন আগে অসুস্থ হওয়া পরিবারের সদস্য। নতুন আক্রান্তের দুজন লোকাল (প্রবাসী নন)।
Advertisement
আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, ভাইরাসের লোকাল ট্রান্সমিশন হচ্ছে। যে কারণে একটি উপজেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সভা-সমাবেশ ও সমাগম বন্ধের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে বলা হয়েছে।
চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে বৈশ্বিক মহামারিতে রূপ নেয়া করোনাভাইরাস বাংলাদেশে শনাক্ত হয়েছে গত ৮ মার্চ। সেদিন তিন জন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার তথ্য জানায় সরকারের আইইডিসিআর। পরে আরও দুজন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কথা জানায় সরকার। এদের মধ্যে তিনজন সুস্থ হয়ে উঠেছেন, যাদের দুজন বাড়ি ফিরে গেছেন। সবশেষ আরও তিনজন আক্রান্ত হওয়ার তথ্য জানা গেল। এদিকে বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৫২ জন এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। ৬ হাজার ৫১৬ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা। এছাড়া ৭৭ হাজার ৭৫৩ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।
এখন পর্যন্ত ১৫৭টি দেশ ও অঞ্চলে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। শুধুমাত্র চীনেই এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৮৬০ এবং সেখানে মারা গেছেন ৩ হাজার ২১৩ জন।
করোনাভাইরাস আক্রান্ত এলাকা থেকে আসা লোকজনকে কোয়ারেন্টাইনে থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, হোম কোয়ারান্টাইনে থাকার নিয়ম না মানলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা প্রাথমিকভাবে শাস্তিমূলক হিসেবে জরিমানা করার কথা বলেছি স্থানীয় ও জেলা প্রশাসনকে।
Advertisement
জেইউ/এইচএ/এমএস