ইতোমধ্যে সাড়ে ছয় হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয় করোনাভাইরাস। কখন কে আক্রান্ত হবেন, আক্রান্ত হলে আদৌ সুস্থ হয়ে ফিরবেন কি-না তা জানা নেই কারো। কারণ এই রোগের কোনো ভ্যাকসিন এখনও পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি।
Advertisement
করোনাভাইরাস থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় তাই সতর্ক থাকা। পরিচ্ছন্ন জীবন যাপন এবং খুব বেশি প্রয়োজন না হলে বাড়ি ছেড়ে বের হতে নিষেধ করছেন চিকিৎসকরা। মূলত এই অসুখের লক্ষণ এত বেশি সাধারণ যে তা টের পেতেই সময় লেগে যায়। তাইতো অনেক দেশেই হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
আমাদের দেশে যেহেতু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গিয়েছে তাই এর সংখ্যা যে আর বাড়বে না, তা বলা যাচ্ছে না। বাড়িতেই কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ আসতেই পারে। এমন অবস্থায় কয়েকটি খাবার সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন। যেগুলো দীর্ঘদিন সতেজ থাকে এবং আপনার প্রতিদিনের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করবে। চলুন জেনে নেয়া যাক-
চাল: বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই চালকে নানা পদ্ধতিতে রান্না করে খাওয়া হয়। এর সঙ্গে নানা শাক-সবজি ব্যবহার করে রান্না করতে পারেন। বাঙালির প্রধান খাদ্যই তো ভাত। যদি করোনা ঠেকাতে বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন করেন তবে অবশ্যই চাল বেশি করে কিনে রাখুন। কাজে আসবে অবশ্যই।
Advertisement
সবজি: সুপারশপগুলোতে ক্যানে ভরে সবজি বিক্রি হয়। এগুলির মধ্যে এমন কিছু পদার্থ থাকে, যাতে সবজিগুলি পচে না যায়। তবে খাদ্যগুণের কথাও মাথায় রাখা হয়। বিনস, মটরশুঁটি, গাজর ক্যানে ভরে বিক্রি হয়। সেগুলি এনে ফ্রিজারে রাখতে পারেন। এছাড়া নিজেই সবজি কেটে সেগুলি এয়ারটাইট বক্সে রেখে দিতে পারেন। স্যুপ, সালাদ তৈরি করে খেতে পারেন।
ফল: সবজির মতো ফলও আজকাল ক্যানে ভরে বিক্রি হয়। প্রতিদিন বাজার থেকে গিয়ে তাজা ফল কেনার ঝক্কিতে না গিয়ে বরং এখন কটা দিন ক্যানে ভরা ফল খান। রোজাকারের ভিটামিন ও মিনারেল থেকে শরীরকে কখনোই বঞ্চিত করবেন না।
পাস্তা: সংরক্ষণ করুন পাস্তা। এগুলো দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায়। প্রতিদিনের খাবারে এটি খান। নানা সাইজ ও ধরনের পাস্তা বাজারে পাওয়া যায়। মাংস, সবজি দিয়ে পছন্দ মতো তৈরি করে খান। এটি একটি পূর্ণ মিলের কাজ করবে।
মাংস, ডিম: ডিম কিনে ফ্রিজে রেখে দিন। অন্তত দশদিন তো বটেই। সঙ্গে কিনে রাখুন ক্যানে ভরতি মাংস। মাছের থেকে ক্যানে ভরা মাংসের খাদ্যগুণ বেশি। নিজে কিনে এনে ভালো করে ধুয়ে এয়ারটাইট বক্সেও ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন।
Advertisement
এইচএন/এমএস