আন্তর্জাতিক

এবার নিউইয়র্কে বার-রেস্তোরাঁ-নাইটক্লাব-কনসার্ট বন্ধের ঘোষণা

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে নিউইয়র্কের সব বার, রেস্তোরাঁ, নাইটক্লাব ও কনসার্ট বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র বিল ডে ব্লাসিও। এ-সংক্রান্ত এক বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

Advertisement

রোববার সন্ধ্যায় এ ঘোষণা জারি করেন মেয়র বিল ডে ব্লাসিও। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এর আগে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির সব স্কুল সোমবার (১৬ এপ্রিল) থেকে আগামী ২০ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধের ঘোষণা দেয় নিউইয়র্ক কর্তৃপক্ষ।

এ ঘোষণা দিয়ে মেয়র বিল ডি ব্লাসিও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নিউইয়র্ক সিটিতে এখন পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে এবং এতে আক্রান্ত হয়েছে ৩২৯ জন। এ পরিস্থিতিতে স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের ফলে অঙ্গরাজ্যের ১১ লাখেরও বেশি শিশুকে বাড়িতে থাকতে হবে।

Advertisement

স্কুল বন্ধের পর বার, রেস্তোরাঁ বন্ধের নির্দেশ দিয়ে মেয়র বলেছেন, ‘আমাদের জীবন এখন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন এবং যেটা আমরা এক সপ্তাহ আগেও কল্পনা করতে পারিনি। আমাদের প্রিয়জন ও প্রতিবেশীদের জীবন বাঁচাতে আমরা এমন কতকগুলো সিদ্ধান্ত নিচ্ছি যা আমরা আগে নিইনি। এখন সময় এসেছে আরেকটা ফলপ্রসূ সিদ্ধান্ত নেয়ার।’

কয়েকটি সিরিজ টুইট বার্তায় মেয়র লিখেছেন, ‘রেস্তোরাঁ, বার এমন যেসব জায়গায় আমরা খুব কাছাকাছি বসি, সেসব জায়গায় গেলে নিউইয়র্কবাসীদের মধ্যে দ্রুত এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। আমাদের এই চক্র ভাঙতে হবে।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘নাইটক্লাব, মুভি থিয়েটার, স্মল থিয়েটার ও কনসার্ট ভেন্যু অবশ্যই বন্ধ করা হবে।

‘আমার এ সিদ্ধান্ত হালকা করে দেখার সুযোগ নেই। এই জায়গাগুলো আমাদের শহরের প্রাণকেন্দ্র। একজন নিউইয়র্কবাসী বলতে যা বোঝায় এগুলো তারই অংশ। কিন্তু আমাদের এই শহর অভূতপূর্ব এক হুমকি মোকাবিলা করছে এবং যুদ্ধকালীন মানসিকতা নিয়েই আমাদের এটি প্রতিরোধ করা উচিত’-বলেন মেয়র বিল ডি ব্লাসিও।

যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজার ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এতে মারা গেছেন ৬৩ জন।

Advertisement

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৫২ জন এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। ৬ হাজার ৫১৬ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা। এছাড়া ৭৭ হাজার ৭৫৩ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।

এখন পর্যন্ত ১৫৭টি দেশ ও অঞ্চলে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। শুধুমাত্র চীনেই এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৮৬০ এবং সেখানে মারা গেছে ৩ হাজার ২১৩ জন।

চীনের পর করোনাভাইরাসে সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ইতালিতে। সেখানে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ হাজার ৭৪৭ এবং মারা গেছে ১ হাজার ৮০৯ জন। দেশটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৫৯০।

এরপরেই রয়েছে ইরান। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ হাজার ৯৩৮ এবং মৃতের সংখ্যা ৭২৪। অপরদিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজার ২৩৬ এবং মৃতের সংখ্যা ৭৫।

সূত্র : ডেইলি মেইল

এসআর/এমএস