ইতালি থেকে ৫ মার্চ দেশে ফিরে সাজেক ঘুরতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) আসেন ব্রাক্ষণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার দস্তগীর হোসাইন মাহফুজ। এ সময় তার সঙ্গে কয়েকজন বন্ধুও ছিলেন। তারা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আবদুর রব হলের একটি কক্ষে অবস্থান করছিলেন। খবর পেয়ে সেখান থেকে ইতালিফেরত ওই যুবকসহ ছয়জনকে উদ্ধার করে ফৌজদারহাটের ট্রপিক্যাল ও ইনফেকশাস ডিজিজ ইন্সটিটিউটে কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
Advertisement
রোববার (১৫ মার্চ) দিবাগত রাত দুইটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রক্টরিয়াল বডি বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুর রব হলের ৩২০ নম্বর কক্ষ থেকে তাদের উদ্ধার করে।
উদ্ধার হওয়া ৬ জনের মধ্যে একজন ইতালি ফেরত, দুইজন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী, একজন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অপর দুইজন চবি শিক্ষার্থী। প্রবাসী ওই যুবক বন্ধুদের নিয়ে দুই দিন ধরে ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৫ মার্চ বিমানবন্দরে কোনো প্রকার বাধার সম্মুখিন না হয়ে ইতালি থেকে ফেরেন দস্তগীর হোসাইন মাহফুজ নামে ওই যুবক। পরে সাজেক যাওয়ার উদ্দেশ্যে সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন তিনি। এসময় তার সঙ্গে আসেন নিজ এলাকার বন্ধুরা। আর তাদের আশ্রয় দেন শাহনেওয়াজ নামের বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী।
Advertisement
দু’দিন যাবৎ তারা হলে অবস্থান করার পর রোববার রাতে খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিযাল বডি তাদের উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আহসানুল কবির পলাশ বলেন, আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ওই রুম থেকে উদ্ধার করা ৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছি। পরে তাদের পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে। আর যে শিক্ষর্থী তাদের এনেছে তার বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে এমন ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা আতঙ্ক। শিক্ষার্থীরা ইতালিফেরত যুবককে আশ্রয় দেয়া ওই চবি ছাত্রের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে চবির সকল শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে শহীদ আবদুর রব হলের ছাত্ররা হলটিকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার জন্য স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টাইন ঘোষণা করেছেন। উক্ত সময়ের মধ্যে হলের সকল শিক্ষার্থী স্বেচ্ছায় হলের বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। এই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কোয়ারেন্টাইনে প্রেরিত ৬ জনের SARS COV-2 বা Covid-19 ভাইরাস শনাক্তের রিপোর্ট পাওয়া যাবে। আর সে অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Advertisement
আবদুল্লাহ রাকীব/এফএ/এমএস