গরু হত্যার গুজব ছড়িয়ে সম্প্রতি ভারতে বেশ কয়েকটি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় এক মুসলিম নাগরিককে গো মাংস বাড়িতে রাখার গুজব ছড়িয়ে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাও ঘটেছে। এছাড়া শুক্রবার একই অভিযোগে আরো চার ব্যক্তিকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতে গরু হত্যার গুজব ও মাংস খাওয়ার অভিযোগ ছড়িয়ে যেসব সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে এর পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক ফায়দা।কয়েকটি প্রদেশে নির্বাচনকে সামনে রেখে ইস্যুটিকে ব্যাবহার করা হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শান্তনু চক্রবর্তী বলেন, বিহারে বা উত্তর প্রদেশে নির্বাচন আসছে। সেটিকে সামনে রেখে জাতিগত পার্থক্যকে রাজনৈতিক কারণে ব্যাবহার করা হচ্ছে।তার মতে, স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা অনেকসময় ভোটে লাভ হবে ভেবে এটিকে ইস্যু করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বিষয়ে নীরব রয়েছেন কারণ তিনি এমন কিছু করবেন না যাতে শাসক দলের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ে।মিডিয়াতে বা শহরাঞ্চলের মানুষজন বিষয়টির সমালোচনা করছে তবে যেসব গ্রামাঞ্চলে এসব ঘটনা ঘটছে সেখানে তার তেমন কোনো প্রভাব পড়ছে না বলে মনে করেন তিনি।শুক্রবার ভারতের উত্তর প্রদেশে গরু হত্যার অভিযোগে চারজন মুসলিম ব্যক্তিকে মারধরের ঘটনায় ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে গরু জবাইয়ের গুজব ছড়িয়ে পড়লে এ ঘটনা ঘটে।এর আগে, চলতি সপ্তাহের শুরুতে কাশ্মীরে একজন সংসদ সদস্য ভূরিভোজের আয়োজনে গরুর মাংস পরিবেশন করেছেন এমন অভিযোগে অধিবেশন চলাকালে তাকে মারধর করে ক্ষমতাসীন বিজেপি দলের সদস্যরা।এসব ঘটনার দু’সপ্তাহ আগে একই গুজবে হিন্দুত্ববাদীরা ৫০ বছর বয়সী এক মুসলিমকে পিটিয়ে হত্যা করে। ভারতে সাম্প্রতিক এ ধরনের ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার প্রতিবাদে বেশ কয়েকজন খ্যাতিমান লেখক তাদের রাষ্ট্রীয় পদক ফিরিয়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।এসআইএস/এমএস
Advertisement