নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) জায়েদুল আলম বলেছেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের চেয়ে ভয়ঙ্কর মাদক ও কিশোর গ্যাং। পুলিশ, সাংবাদিক এমনকি জনপ্রতিনিধির পক্ষে একা মাদক নির্মূল করা সম্ভব নয়।
Advertisement
তিনি বলেন, প্রত্যেক কিশোরের বাবা-মা আছে। প্রতিটি ঘর থেকে বাবা-মা সন্তানদের নিয়ন্ত্রণ করলে কিশোর গ্যাংয়ের সৃষ্টি হতো না। প্রত্যেক মা-বাবার উচিত সন্তান কখন কোথায় যায়, কি করে, কার সঙ্গে মিশে সব খোঁজখবর রাখা। কিন্তু বর্তমান সমাজের মা-বাবা তাদের সন্তানের খোঁজখবর রাখেন না। যার কারণে কিশোর গ্যাং বৃদ্ধি পাচ্ছে।
‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার’ স্লোগানে রোববার (১৫ মার্চ) বিকেলে ফতুল্লা মডেল থানা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত ‘ওপেন হাউজ ডে’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মাদক ব্যবসায়ী ও সেবীদের সামাজিকভাবে বয়কটের ঘোষণা দিয়ে এসপি জায়েদুল আলম বলেন, মাদক নির্মূল করা কারও একার পক্ষে সম্ভব না। মাদক নির্মূল করতে হলে সামাজিক প্রতিরোধ গড়তে হবে। জনগণের সঙ্গে পুলিশের দূরত্ব কমাতে হবে। পুলিশকে প্রতিপক্ষ ভাবা যাবে না। জনগণের সঙ্গে মিলেমিশে পুলিশকে কাজ করতে হবে। পুলিশ ও জনগণ একসঙ্গে কাজ করলে সমাজের সব অপরাধ দূর করা সম্ভব।
Advertisement
এসপি বলেন, যেসব কাজ সমাজের মানুষের ভোগান্তির কারণ হয় সেসব কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। কোনো এলাকায় বিয়ের অনুষ্ঠানে গভীর রাত পর্যন্ত উচ্চশব্দে গান-বাজনা করলে আমাদের জানাবেন। পুলিশ সাউন্ড বক্সসহ অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে আসবে। প্রতিবেশীদের কষ্ট দিয়ে নিজেরা আনন্দ করবেন, তা হবে না। ডিজে পার্টি কোনো ধর্মে নেই। এগুলো ইহুদি-নাসারাদের কাজ। নারায়ণগঞ্জের কোথাও ডিজে পার্টি চলবে না।
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী, বিকেএমইএ’র সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. হাতেম, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফ উল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান স্বপন, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু, এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান ও বিকেএমইএর সহ-সভাপতি সারোয়ার আলম সোহেল।
মো. শাহাদাত হোসেন/এএম/জেআইএম
Advertisement