করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সোমবার (১৬ মার্চ) থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিভাগীয় ছাত্র প্রতিনিধিরা। একই সঙ্গে তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেও ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখার আহ্বান জানান। রোববার দুপুর ৩টার দিকে করোনার প্রদুর্ভাব স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ না নেয়ার এ সিদ্ধান্ত নেন তারা। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
Advertisement
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, রোবাবর দুপুর ২টার দিকে সব বিভাগের ছাত্র প্রতিনিধিদের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১২ জন বিভাগীয় প্রতিনিধি অংশ নেন। দীর্ঘ দুই ঘণ্টা আলোচনা শেষে সোমবার থেকে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তারা।
শিক্ষার্র্র্থীরা জানান, ঘনবসতিপূর্ণ ঢাকা শহরে আমাদের জন্য এ ভাইরাসের ভীতিটা সবচেয়ে বেশি। আমাদের উচিত সমস্যা সৃষ্টির আগেই সিদ্ধান্ত নেয়া। বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত না নেয়ায় আমরাই এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।
এবিষয়ে জবির ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষর্থী মাহমুদুল হক মিশু বলেন, রাজধানী শহর ঢাকার মধ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। আবার এর মধ্যে মারাত্মক ঝুঁকিতে জবি। আমাদের এই ছোট ক্যাম্পাসে সংক্রমণের সম্ভাবনা যেমন বেশি তেমন ছড়াবেও দ্রুত। এছাড়া সদরঘাট মানুষ আসা যাওয়ার এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান হওয়ায় এই ঝুকি আরও বাড়িয়েছে।
Advertisement
এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, বিভাগীয় প্রতিনিধিদের মধ্যে ৬২ জন ক্লাস পরীক্ষা বন্ধের পক্ষে স্বাক্ষর করেছেন বাকিরা মৌখিক স্বীকৃতি দিয়েছেন।
জবি পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তৌসিব মাহমুদ সোহান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সব জেলার শিক্ষার্থী থাকার ফলে একবার এই ক্যাম্পাসে সংক্রমণ ঘটলে তারা বাড়িতে গেলে দেশব্যাপী সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের ক্লাস পরীক্ষায় অংশ না নেয়ার ঘোষণার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার প্রোকৌশলী মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, আমরা এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। তবে শীঘ্রই ডিন ও বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বসে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।
এদিকে জবি শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের পাঠানো এক পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন তারা। জবি শিক্ষার্থীরা করোনা আক্রান্ত হলে দ্রুততম সময়ে বিস্তার ঘটবে। কারণ হল না থাকায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মেসে ৮-১০ জন শিক্ষার্থী একরুমে থাকে। এই অবস্থার মধ্যে করোনা ছড়ালে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হবে।
Advertisement
এমএফ/এমকেএইচ