করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রতিবেশী সব দেশের সঙ্গেই সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। তবে এখনও কিছু পথে বাংলাদেশে প্রবেশ করা যাচ্ছে। খোলা রয়েছে মিয়ানমার, নেপাল, ভুটান সীমান্তের কয়েকটি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টও।
Advertisement
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসামসহ আটটি রাজ্যের মোট ২০টি চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিবেশী দেশে যাতায়াত করা যাচ্ছে। চেকপোস্টগুলোর বেশিরভাগই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের।
পশ্চিমবঙ্গ: রাজ্যের চ্যাংড়াবান্ধা, হিলি, ফুলবাড়ি, গজাডাঙা, হরিদাসপুর, গেদে, চিৎপুর, রানিগঞ্জ ও জয়গাও চেকপোস্ট খোলা রয়েছে। এগুলো দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করা যাবে।
আসাম: এ রাজ্যের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মানকাচর ও সাতারকান্দি এবং ভারত-ভুটান সীমান্তের দারাঙ্গা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট খোলা রয়েছে।
Advertisement
ত্রিপুরা: এখানকার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের আগরতলা চেকপোস্ট দিয়ে যাতায়াত করা যাচ্ছে।
মেঘালয়: এ অঞ্চলের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ডালু ও ডৌকি চেকপোস্ট খোলা রাখার কথা জানিয়েছে ভারত সরকার।
মিজোরাম: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কারপুইছুয়া ও ভারত-মিয়ানমার সীমান্তের জোখাথার চেকপোস্ট খোলা রাখা রয়েছে।
বিহার: ভারত-নেপাল সীমান্তের রক্সৌল চেকপোস্ট খোলা।
Advertisement
এছাড়াও, ভারত-নেপাল সীমান্ত বরাবর উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের একটি করে চেকপোস্ট খোলা রাখা হয়েছে।
এর আগে, গত বুধবার (১১ মার্চ) বিশেষ ক’টি ক্ষেত্র ছাড়া বিদেশিদের যাবতীয় ভিসা স্থগিত করার ঘোষণা দেয়ে ভারত সরকার। ওই সিদ্ধান্ত অনুসারে শুক্রবার (১৩ মার্চ) আন্তর্জাতিক সময় রাত ১২টা (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা) থেকে ভারতে বিদেশিদের প্রবেশ বন্ধ হয়ে যায়। আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে, তবে প্রয়োজনে এ সময়সীমা আরও বাড়ানো হতে পারে।
ভারতে এ পর্যন্ত অন্তত ১০৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। এদের মধ্যে বিদেশি নাগরিক ১৭ জন। দেশটিতে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন দু’জন। ইতোমধ্যেই করোনা সংক্রমণকে বিপর্যয় ঘোষণা করেছে ভারত।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
কেএএ/এমকেএইচ