খেলাধুলা

আইপিএল শুরুর সম্ভাব্য পাঁচটি তারিখ

বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণে আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে ভারতের জমজমাট ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আইপিএল। জানানো হয়নি ঠিক কবে শুরু হবে আইপিএলের তেরতম আসর। তবে পাঁচটি সম্ভাব্য তারিখের কথা জানা গিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড- বিসিসিআইয়ের মাধ্যমে।

Advertisement

সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে আইপিএল হওয়ার কথা ছিলো ২৯ মার্চ। সে মোতাবেক টুর্নামেন্টের পূর্ণাঙ্গ সূচিও প্রকাশ করেছিল আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। টুর্নামেন্ট পিছিয়ে দেয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বাতিল হয়ে গেছে সেই সূচি। এখন সকলের অপেক্ষা, নতুন করে ঠিক কবে শুরু হবে এবারের আসর।

শনিবার এ বিষয়ে অংশগ্রহণকারী ৮ দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিসিসিআই ও আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। যেখান থেকে পাওয়া গেছে সম্ভাব্য পাঁচটি তারিখ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সূচি মাথায় রেখে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের পক্ষ থেকে ১৫ এপ্রিল, ২১ এপ্রিল, ২৫ এপ্রিল, ১ মে ও ৫ মে- এই পাঁচটি তারিখকে টুর্নামেন্ট শুরুর সম্ভাব্য সময় হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছে।

আট দলের অংশগ্রহণে আইপিএলের প্রথম পর্বেই হয়ে থাকে ৫৬টি ম্যাচ। এরপর আবার প্লে-অফ পর্বের আরও ৪টি ম্যাচ। সবমিলিয়ে ৬০ ম্যাচ খেলার জন্য প্রায় দুই মাস সময়ের প্রয়োজন হয়। আইপিএল চলাকালীন আন্তর্জাতিক সূচিতে তেমন ব্যস্ততা রাখা হয় না ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলোর। ফলে আইপিএল আয়োজনে কোনো সমস্যা হয় না।

Advertisement

কিন্তু এবার ১৭ দিন পেছানোয় নতুন সূচিতে সামঞ্জস্য রাখতে বেশ বেগ পেতে হবে আয়োজকদের। কেননা জুন-জুলাই মাস থেকেই ব্যস্ত সময় শুরু হবে বিশ্বের প্রায় সব দেশের ক্রিকেটে। তখন চাইলেও নামী বিদেশি তারকাদের পাওয়া যাবে না আইপিএলে। তাই মূলত মে মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে আইপিএল শুরু করতে চান ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা।

এমতাবস্থায় আয়োজকদের সামনে দুইটি পথ খোলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন এক ফ্র্যাঞ্চাইজির কর্মকর্তা। ভারতীয় দৈনিকে তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালে যখন দক্ষিণ আফ্রিকায় হলো আইপিএল, তখন এটা ৩৭ দিনে শেষ করা হয়েছিল। তাই আমরা যদি এপ্রিলের ২৫ তারিখের মধ্যে শুরু করতে পারি, তাহলে মে মাসের মধ্যেই শেষ করা যাবে। কিন্তু এটা এতটা সহজ নয়। এত অল্প সময়ের মধ্যে এখন টুর্নামেন্ট শেষ করা বেশ কঠিন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন প্রথম উপায় হলো আগের মতো একে অপরের বিপক্ষে দুই ম্যাচ বাদ দিয়ে, একবার করে মুখোমুখি হওয়ার সূচি করতে হবে। আর নয়তো আট দলকে দুই গ্রুপে ভাগ করতে হবে। কিন্তু দুই গ্রুপে ভাগ করার বুদ্ধিটা তেমন ভালো হবে না। কারণ এতে করে কিছু জমজমাট ম্যাচ দেখা যাবে না টুর্নামেন্টে।’

এসএএস/এমএস

Advertisement