আন্তর্জাতিক

করোনার হানায় সাগরে ভাসছে আরও এক প্রমোদতরী, আটকা ১০০০

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে সহস্রাধিক আরোহী নিয়ে সাগরে আটকা পড়েছে আরও একটি ব্রিটিশ প্রমোদতরী। এমএস ব্রেমার নামে জাহাজটি বাহামার ফ্রিপোর্ট (শুল্কমুক্ত নৌপরিবহন কেন্দ্র) থেকে প্রায় ২৫ মাইল দূরে নোঙ্গর করেছে। পাঁচ আরোহীর শরীরে করোনা শনাক্ত হওয়ায় প্রমোদতরীটিকে তীরে ভেড়ার অনুমতি দেয়নি স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম জানায়, ফ্রেড ওলসেন ক্রুজলাইন পরিচালিত জাহাজটি শনিবার বাহামাসের দক্ষিণপশ্চিমে নোঙ্গর করে। এতে ৬৮২ যাত্রী ও ৩৮১ জন ক্রু রয়েছেন। এদের বেশিরভাগই ব্রিটিশ নাগরিক। ইতোমধ্যে তাদের এক যাত্রী ও চার ক্রু করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।

বাহামাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভাইরাসের ঝুঁকির কারণে তারা জাহাজটিতে তীরে ভিড়তে দিতে পারছে না। তবে এতে খাদ্য, ওষুধসহ সব ধরনের সহায়তা হেলিকপ্টারে করে পৌঁছে দেয়া হবে। এ কাজে সহায়তা করতে ইতোমধ্যে দুই ব্রিটিশ কর্মকর্তা ফ্রিপোর্টে পৌঁছেছেন। একজন চিকিৎসক ও এক নার্স জাহাজটিতে যাচ্ছেন।

গত বুধবার কুরাকাওয়ে থাকার সময়ই ব্রেমারের পাঁচ আরোহীর শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। একারণে সেটিকে আর বন্দরে নোঙ্গর করার অনুমতি দেয়নি বার্বাডোজসহ বেশ কয়েকটি ক্যারিবিয়ান বন্দর। বর্তমানে জাহাজটিকে সাগরেই কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এটি অন্তত ১০ দিন পর যুক্তরাজ্যে পৌঁছাবে।

Advertisement

এর আগে, ব্রিটিশ কোম্পানি প্রিন্সেস ক্রুজের দু’টি প্রমোদতরীতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা গেছে। গত মাসে জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে প্রায় ৩ হাজার ৭০০ আরোহী নিয়ে আটকা পড়ে দৈত্যাকার জাহাজ ডায়মন্ড প্রিন্সেস। এ পর্যন্ত জাহাজটির সাত শতাধিক আরোহী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন অন্তত ছয়জন। সপ্তাহখানেক আগে ক্যালিফোর্নিয়ায় গ্রান্ড প্রিন্সেস নামে আরেকটি প্রমোদতরীতে করোনা হানা দিয়েছে। এ পর্যন্ত জাহাজটির প্রায় আড়াই হাজার আরোহীর মধ্যে দুই যাত্রী ও ১৯ ক্রু ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন।

জাহাজগুলোতে করোনার সংক্রমণের কারণে দুই মাসের জন্য এর কার্যক্রম স্থগিত করেছে প্রিন্সেস ক্রুজ কর্তৃপক্ষ। এছাড়া, প্রমোদতরীতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকায় গত শুক্রবার ৩০ দিনের জন্য কার্যক্রম স্থগিত করেছে মার্কিন কোম্পানিগুলোও।

সূত্র: ডেইলি মিরর

কেএএ/এমএস

Advertisement