আন্তর্জাতিক

ভ্রমণ বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করছে চীন, স্বাভাবিক হচ্ছে জনজীবন

চীনে মানুষের দৈনন্দিন জীবন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। ডিসেম্বরের শেষে দেশটিতে নতুন করোনাভাইরাসের উৎপত্তির পর বেইজিং ভ্রমণ সংক্রান্ত যেসব বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল, তা ধীরে ধীরে প্রত্যাহার হওয়ায় কাজে ফিরছেন মানুষ। ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার পর এতদির চীন প্রায় অবরুদ্ধ ছিল।

Advertisement

সিএনএন-এর প্রতিবেদনে খবর জানিয়ে বলা হচ্ছে, নতুন করে চীনে মাত্র ২০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। কয়েক সপ্তাহ আগের তুলনায় যা অনেক কম। ওই সময় দেশটিতে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছিলেন। এখন যা ঘটছে ইতালি, স্পেনসহ ইউরোপের দেশগুলোতে।

চীনে নতুন করে যেসব আক্রান্তের ঘটনা ঘটছে তা আর দেশব্যাপী বিস্তার ঘটাচ্ছে না। এখন দেশটিতে মূলত আক্রান্ত হচ্ছেন অন্যান্য দেশ থেকে যাওয়া মানুষ অথবা ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশের বাসিন্দারা। অন্যান্য প্রদেশে আক্রান্তের ঘটনা ঘটছে না বললেই চলে।

চীনে এখন স্থানীয়ভাবে ভ্রমণ ফের শুরু হয়েছে। মহামারিটির সংক্রমণে চীনের অবস্থা যখন সবচেয়ে খারাপ ছিল তখন দেশটির ১ হাজার ১১৯টি মহাসড়কের প্রবেশ ও বহিরাগমন পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা শিনহুয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেসব মহাসড়ক আবার স্বাভাবিক হচ্ছে।

Advertisement

এছাড়া দেশটির বিভিন্ন প্রদেশ, শহর এবং কাউন্টির বন্ধ সড়কগুলো পুনরায় খুলে দেওয়া হয়েছে। দেশটির জাতীয় সড়ক নেটওয়ার্ক ফের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। শিনহুয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীনের ২৮টি প্রদেশে আন্তঃপ্রদেশ চলাচল আবার শুরু হয়েছে, যা এতদিন ধরে বন্ধ ছিল।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশটির মহাসড়কে ১২ হাজার ২৮টি হেলথ ও কোয়ারেন্টাইন স্টেশন চালু করা হয়েছিল। এসবের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ১৯৮টি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় অল্পদিনের মধ্যে চালু হওয়া হাসপাতালগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

গত ফেব্রুয়ারির তুলনায় চীনের অবস্থা এখন সম্পূর্ণ বিপরীত। মাত্র একমাস আগেও চীনের বেশিরভাগ বাসিন্দা ছিল অবরুদ্ধ। অনেক মানুষ তাদের বাড়ি ছেড়ে কোথাও বেড় হতে পারতেন না। শহরগুলো হয়ে পড়েছিল মানবশূন্য। অনেকে সপ্তাহের পর সপ্তাহ ধরে ঘরের মধ্যে বন্দী অবস্থায় ছিলেন।

দেশটির অনেক শহরে গণপরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হয়। ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল উহান ও অন্যান্য শহরে সাবওয়ে ট্রেন বন্ধ ছিল, নিষিদ্ধ করা হয়েছিল ট্যাক্সি চলাচল। শুধু সরকারের নির্দেশে কিছুসংখ্যক শাটল ট্রেন এবং ব্যক্তিগত গাড়ি চলতো। তবে সেই অবস্থা এখন আর নেই। চীন এই মহামারি মোকাবিলা করেছে।

Advertisement

এসএ/এমএস