দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পর এ রোগ থেকে রক্ষায় স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। রিটে দেশের বিমান, নৌ ও স্থলবন্দরসহ সীমান্ত এলাকা বন্ধের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
Advertisement
রিটের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী।
তিনি জানান, দেশে করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় যদি শিক্ষার্থীরা করোনায় আক্রান্ত হয়, তা হলে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। তাই স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের দাবিতে রিট করা হয়েছে। আর দেশের সীমান্ত এলাকা বিশেষ করে স্থল, নৌ এবং বিমানবন্দর দিয়ে মানুষের যাতায়াত অব্যাহত রয়েছে, তাই এসব বন্দরও বন্ধের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রোববার (১৫ মার্চ) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বাস্থ্যসচিব, শিক্ষাসচিব, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে।
Advertisement
আইনজীবী বলেন, সোমবার (১৬ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানির জন্য রিটটি উপস্থাপন করা হতে পারে।
আইনজীবী জানান, করোনাভাইরাস থেকে রক্ষায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে নির্দেশনা জারির আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। রিটে সকল বিমান, নৌ ও স্থলবন্দরে করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তিকে শনাক্তে এবং সকল বন্দরের প্রবেশমুখে মনিটরিংয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।
আবেদনে দেশের সব বন্দরে করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত এবং বন্দরের প্রবেশমুখে মনিটরিংয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এবং সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না এবং করোনাভাইরাস থেকে জনগণকে রক্ষায় সরকারের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না এ মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
এছাড়া সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা, বন্দরসমুহে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে শনাক্তে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অন্তবর্তীকালীন নির্দেশনা জারির আর্জি জনানো হয়েছে।
Advertisement
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে, গত আড়াই মাসে ভাইরাসটি ছড়িয়েছে বিশ্বের প্রায় ১২৭ দেশ ও অঞ্চলে। এ ভাইরাসের প্রভাবে ফ্লুর মতো উপসর্গ নিয়ে যে রোগ হচ্ছে, সেই কভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন এ পর্যন্ত এক লাখ ৩৪ হাজার ৭৬৯ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৭০ হাজার ৩৮৭ জন।
গত ৮ মার্চ প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়। তবে তারা সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন বলে দাবি আইইডিসিআরের।
তবে শনিবার (১৪ মার্চ) রাতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সংবাদ সম্মেলনে জানান, দেশে আরও দুজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
এফএইচ/এইচএ/এমএস