সাভারের আশুলিয়ায় যাত্রীবাহী দূরপাল্লার একটি বাস থেকে স্যুটকেস বন্দী অজ্ঞাত এক তরুণীর গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ওই তরুণীর পরিচয় জানা যায়নি।
Advertisement
শনিবার (১৪ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে আশুলিয়ার নবীনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সেবা গ্রীন লাইন (ঢাকা মেট্রো ব-১৫-৩৯৮৭) নামে দূরপাল্লার একটি বাস থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নবীনগরের সেবা গ্রীন লাইন পরিবহনের কাউন্টার মালিক মো. লিটন জানান, তাদের বাসটি রাজধানীর গাবতলী থেকে গোপালগঞ্জে যাত্রী পরিবহন করে। গত শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় তাদের কাউন্টারের ১৯ জনসহ মোট চল্লিশ জন যাত্রী নিয়ে গোপালগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় বাসটি। পরে আরিচা এলাকায় ফেরি পারাপারের পর নবীনগর থেকে ওঠা এইচ-১ সিটের এক যাত্রীকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে তাদের বাসটির স্টাফরা জানান। পরে বাসটি গোপালগঞ্জের নাজিরপুর পৌছলে ওই যাত্রীর বাসের বক্সে রেখে যাওয়া একটি কালো রঙের স্যুটকেস পাওয়া যায়।
এ সময় স্যুটকেসটির মালিক না পেয়ে আবারও একই বাসে ঢাকার উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দেয়া হয়। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে শনিবার রাতে গাবতলী থেকে বাসটির চালক লালু মিয়া, সুপারভাইজার সবুজ শেখ ও হেলপার নয়নকে নিয়ে নবীনগরে পাঠান। এরপর আশুলিয়া থানা পুলিশ ও পিবিআইয়ের কর্মকর্তারা স্যুটকেস খুলে এক তরুণীর মরদেহ বের করেন। আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ মুন্সি জানান, রাতে নবীনগর এলাকায় বাসটির বক্স খুলতেই এর ভেতর থেকে গন্ধ বের হতে থাকে। পরে পিবিআই ও পুলিশের উপস্থিতিতে কালো রঙের স্যুটকেসটি খোলা হলে এর ভেতর থেকে এক তরুণীর রক্তাক্ত অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই তরুণীর পরনে কেবল একটি হলুদ রঙের পায়জামা ছিল।
Advertisement
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ফজলুল হক জানান, ওই তরুণীকে হত্যার পর তার লাশ স্যুটকেসে ভরে যাত্রীবেশে কৌশলে বাসের বক্সে রেখে গেছে হত্যাকারী। তার বয়স ২৪-২৫ হবে। তবে কীভাবে এবং কেন ওই তরুণীকে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
আল-মামুন/সাভার