দেশজুড়ে

নাটোরে নৈশপ্রহরী খুন : আটক পাঁচজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

নাটোর শহরের উত্তরা সুপার মার্কেটের নৈশপ্রহরী কাজী আবুল বাশারকে হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখা এবং তিনটি দোকানে লুটের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত পাঁচজন ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সামসুল আমিনের আদালতে শুক্রবার ১৬৪ ধারায় ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করেন।নাটোর সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, নৈশপ্রহরী আবুল বাশারকে বুধবার রাতে কয়েকজন দুর্বৃত্ত হত্যার পর তার মরদেহ মার্কেটের মধ্যে ঝুলিয়ে রেখে তিনটি দোকানের কিছু নগদ টাকা লুট করে। বৃহস্পতিবার সকালে দোকানিরা মার্কেটে তালা লাগানো দেখতে পায়। পরে বিকল্প চাবি দিয়ে তালা খোলার পর তারা তার ঝুলন্ত মৃতদেহ ও তিনটি দোকান খোলা অবস্থায় দেখতে পায়।এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার নিহতের ভাই কাজী আবুল বায়েজিদ বাদী হয়ে ছয়জনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর বৃহস্পতিবার বিকেল ও রাতে নৈশপ্রহরী আবুল বাশার হত্যা ও লুটের ঘটনায় পাঁচ সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করে সদর থানা পুলিশ।গ্রেফতারকৃতরা হলেন সদর উপজেলার ইসলাবাড়ি এলাকার মোতালেব মৃধার ছেলে মানিক ও তাহের মৃধার ছেলে আশরাফুল ইসলাম, একই উপজেলার দত্তপাড়া এলাকার জনু মিয়ার ছেলে কাওসার আলী, জাঠিয়ান এলাকার আলাল উদ্দিনের ছেলে ইস্রাফিল ও নওগাঁর নিয়মতপুর উপজেলার সাদাপুর গ্রামের সিরাজ সরদারের ছেলে বাদশা মিয়া। ক্ষতিগ্রস্ত মিজান গার্মেন্টস, পদ্মা গার্মেন্টস ও মিম গার্মেন্টস-এর মালিকরা দাবি করেন, দুর্বৃত্তরা তাদের মোট ৭ লাখ ৩৫ হাজার টাকা লুট করেছে।সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তারা জানায় দোকান তিনটির তালা ভাঙার শব্দে নৈশপ্রহরী কাজী আবুল বাশার দেখে ফেলে। এসময় তাকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে দোকান তিনটির ক্যাশ বাক্স ভেঙে সামান্য কিছু টাকা পান।তিনি জানান, দোকান মালিকরা যে পরিমাণ টাকা খোয়া যাওয়ার দাবি করেছিলেন তা সঠিক নয়। জড়িত ব্যক্তিরা ভাগে এক দেড় হাজার করে টাকা পেয়েছেন মাত্র। তবে দোকান তিনটির ক্যাশ বাক্সে অনেক টাকা আছে এই লোভেই তারা ঘটনাটি ঘটিয়েছেন। পরে শুক্রবার রাতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আটক ব্যক্তিদের আদালত জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।রেজাউল করিম রেজা/বিএ

Advertisement