জাতীয়

হজ ক্যাম্প থেকে বাড়ি পাঠানো হলো ইতালিফেরত ১৪২ জনকে

ইতালিফেরত ১৪২ বাংলাদেশিকে রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্প থেকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্য বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

শনিবার (১৪ মার্চ) সকালে দুবাই হয়ে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় ফেরার পর তাদেরকে হজ ক্যাম্পে রাখা হয়। তবে তাদের শরীরে করোনার লক্ষণ না থাকায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

শনিবার রাতে আশকোনা হজ ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ।

তিনি বলেন, তাদের বাড়ি পর্যন্ত নজরদারিতে রাখা হবে। বাড়ি গিয়েও তারা কোয়ারেন্টাইনের শর্ত পালন করবেন। কয়েকজন হয়তো রাতে নিরাপত্তার কারণে ক‌্যাম্পে থাকবেন। দুপুরে দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাদের খাবার ব‌্যবস্থা করা হয়েছিল। রাতেও তাদের খাবার দেয়া হবে।

Advertisement

ডা. আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, শুনলাম আগামীকাল (রোববার) আরও ১৫৫ জন ইতালি থেকে ফিরবেন। তাদেরকে আমরা প্রথমে গাজীপুরের একটি ট্রেনিং সেন্টারে কোয়ারেন্টাইনে রাখবো। পরে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ঘোষণা দেন, প্রয়োজনে সরকারি তত্ত্বাবধানে ইতালিফেরত বাংলাদেশিদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। তার ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার সকালে ইতালি থেকে আসা ১৪২ বাংলাদেশিকে আশকোনা হজ ক্যাম্পে পাঠানো হয়। কিন্তু তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে অস্বীকৃতি জানান।

পরিবার-পরিজন সর্বোপরি দেশের মানুষের স্বার্থে বিদেশফেরতদের কোয়ারেন্টাইনে থাকার অনুরোধ জানানো হলেও তারা সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে অস্বীকৃতি জানান। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তাদের আশকোনা হজ ক্যাম্পে নেয়া হলে সেখানে একপর্যায়ে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করে। হজ ক্যাম্পের অস্থায়ী কোয়ারেন্টাইনের বাইরের গেটে এসে বিক্ষোভ শুরু করেন প্রবাসীরা। হজ ক্যাম্পের প্রধান গেটে বিক্ষোভ এবং গেট ধরে তারা ধাক্কাধাক্কি করেন। হজ ক্যাম্পে থাকার পরিবেশ নেই উল্লেখ করে প্রশাসনের অবহেলার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগানও দেন। পরে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও মোতায়েন করা হয়। এর আগে স্বাস্থ্য অধিদফতরে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক জানান, ইতালিফেরত প্রত্যেককেই সরকারি তত্ত্বাবধানে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাধ্যতামূলক।

মন্ত্রী বলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখে তাদের আমরা হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়ে দেব। এটিই আমাদের সিদ্ধান্ত। আমাদের তো রাখতেও কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যারা বাইরে থেকে আসছে তারা তো মারমুখি, তারা তো থাকবে না। যে ব্যবস্থা দুই মাস ধরে আমরা নিয়েছি সেটা তো আর কোনো দেশ নেয়নি।

Advertisement

এআর/এমএসএইচ