নেপথ্যে কি কারণ তা এখনো জানা না গেলেও নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগে বিশ্বের শিশু-কিশোরদের আক্রান্ত হওয়ার হার অনেক কম। তাদের মধ্যে এই রোগটির মারাত্মক কোনো উপসর্গও তেমনভাবে দেখা যাচ্ছে না। বিশেষজ্ঞরা ফ্রান্সভিত্তিক বার্তা সংস্থা এএফপি-কে এমন তথ্যই দিয়েছেন।
Advertisement
তবে এর মানে এই নয় যে শিশু, ছোট বাচ্চা এবং কিশোররা নতুন এই করোনাভাইরাসের বাহক নন। উল্লেখ্য, গত বছরের শেষে চীন থেকে উৎপত্তি হওয়া এই ভাইরাস প্রাণী থেকে মানুষের দেহে সংক্রমিত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যার উৎপত্তিস্থল উহান শহরের একটি সামুদ্রিক খাবার ও বন্যপ্রাণীর বাজার।
বার্তা সংস্থা এএফপির হিসাব অনুযায়ী, শুক্রবার পর্যন্ত বিশ্বের ১২৪ দেশে ছড়ানো এই ভাইরাসে পাঁচ সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের ঘটনা ১ লাখ ৪০ হাজারের বেশি। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেকের উপসগর্গ মাঝারি পর্যায়ে কিংবা নেই। তাদের অনুমান এই সংখ্যাটা আরও অনেক বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স স্কুল অব পাবলিক হেলথের মহামারি বিশেষজ্ঞ জাস্টিন লেসলার বলেন, ‘আমরা জানি শিশুরা ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হচ্ছে কিন্তু তারা মারাত্মকরকমভাবে অসুস্থ হচ্ছে না এবং তাদের মৃত্যুর ঘটনাও খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। তবে এটা কীভাবে এবং কেন হচ্ছে তা এখনো জানা যায়নি।’
Advertisement
গত ফেব্রুয়ারিতে উহান ও আশেপাশের ৪৪ হাজার করোনা আক্রান্ত রোগীকে নিয়ে একটি গবেষণা করা হয়। তাতে দেখা যায়, ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সীদের আক্রান্তের হার ১ শতাংশ এবং মৃত্যু হয়েছে একজনের। এছাড়া দশ বছরের কমবয়সীদের আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা ১ শতাংশের কম এবং কোনো মৃত্যু নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের মহামারি বিশেষজ্ঞ চেচিল ভিবুদ বলেন, ‘অনূর্ধ্ব ২০ বছর বয়সীদের মধ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা কম হওয়ার এই রহস্যজনক বিষয়টি জানার জন্য আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করছি।’ তবে শিশুরা আক্রান্ত না হওয়া নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলছেন।
নিউইয়র্কের স্টোনি ব্রুক চিলড্রেসনস হাসপাতালের শিশুদের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ শ্যারন ন্যাচম্যান বলেন, ‘জন্মের পর প্রথম কিছু বছর শিশুদের নানা ধরনের রোগ হয়ে থাকে। আর এটা তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে। ফলে নভেল করোনার সংক্রমণে তাদের প্রতিক্রিয়াটাও বেশ ভালো।’
এসএ/এমকেএইচ
Advertisement