বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের মতো যুক্তরাষ্ট্রেও প্রতিদিন বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ইতোমধ্যেই দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। ফলে, প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সংকট আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
Advertisement
গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জরিপে বলা হয়েছিল, দেশটির প্রায় ৪০ শতাংশ নাগরিকই নগদ অর্থ, সঞ্চয় বা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে জরুরি প্রয়োজনে ৪০০ মার্কিন ডলার ব্যয় করার সামর্থ্য রাখেন না। এদের মধ্যে প্রায় ২৭ শতাংশ মানুষকে জরুরি প্রয়োজন মেটাতে ধার করতে হবে বা কিছু বিক্রি করতে হবে। আর ১২ শতাংশ মানুষ কোনওভাবেই এই অর্থ জোগাড় করতে পারবেন না।
২০১৮ সালে মার্কিন পরিবারগুলোর অর্থনৈতিক সচ্ছলতা বিষয়ক ওই জরিপ প্রতিবেদনে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক জানায়, ৪০০ ডলার অতিরিক্ত খরচ যোগ হলে দেশটির ১২ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক নিয়মিত মাসিক বিলও পরিশোধ করতে পারবেন না। এমনিতেই ১৭ শতাংশ মার্কিন নাগরিক মাসিক বিল পুরোপুরি পরিশোধ করতে পারেন না। এর আগের বছরের জরিপেও প্রায় একই ধরনের তথ্য পাওয়া গিয়েছিল।
জরিপে দেখা যায়, গত কয়েক বছরে যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা খরচ বেড়েছে। ২০১৮ সালে দেশটির প্রতি পাঁচজনের একজন অপ্রত্যাশিত চিকিৎসা বিল পরিশোধ করেছেন। আর প্রতি চারজনের একজন অর্থের অভাবে চিকিৎসাই করাতে পারেননি।
Advertisement
গত কয়েকদিনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে আলোচনায় এসেছে এসব বিষয়। বিশ্লেষকদের মতে, গতবারের তুলনায় এবছরের আর্থিক পরিস্থিতিতে খুব একটা পরিবর্তন হবে না। সেক্ষেত্রে দেশটির ৪০ শতাংশ মানুষই চিকিৎসাহীনতার ঝুঁকিতে রয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত অন্তত ২ হাজার ৫১৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, মারা গেছেন অর্ধশত মানুষ। বিশ্বের অন্তত ১৪৫টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে নভেল করোনাভাইরাস। বিশ্বব্যাপী এতে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৮ জন, আর মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪২৩ জন।
সূত্র: এবিসি নিউজ
কেএএ/এমকেএইচ
Advertisement