করোনাভাইরাস পরীক্ষায় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক উপস্থিত না থাকায় সিলেটের এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় ৩ ঘণ্টা আটকা পড়েছিলেন সৌদি ফেরত ১২ যাত্রী।
Advertisement
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সৌদি আরব থেকে আসা ওই যাত্রীরা ঢাকা হয়ে সিলেট যান। কিন্তু ওসমানী বিমানবন্দরে থার্মাল স্ক্যানারে করোনা পরীক্ষা করার জন্য কোনো চিকিৎসক না থাকায় সন্ধ্যা পৌনে ৭টা থেকে রাত সোয়া ৯টা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা আটকা পড়েন তারা। এসময় দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
ওসমানী বিমানবন্দরে আটকাপড়া যাত্রীদের একজন সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার রাসেল আহমদ জানান, সৌদি আরব থেকে তারা বিকেলে ঢাকায় পৌঁছান। পরে সেখান থেকে সন্ধ্যায় সিলেটে আসেন। ওসমানী বিমানবন্দরে আসার পর করোনাভাইরাস পরীক্ষার কথা বলে তাদের আটকে রাখা হয়। কিন্তু চিকিৎসক উপস্থিত না থাকায় প্রায় ৩ ঘণ্টা তাদের বসিয়ে রাখে পুলিশ। এ কারণে তাদের নিতে আসা স্বজনরাও ভোগান্তিতে পড়েন। এসময় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের আচরণও ছিলো বিব্রতকর।
ওসমানী বিমানবন্দর সূত্র জানায়, বিমানবন্দরে আগে নভেল করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য অ্যানালগ থার্মোমিটার ছিল। যা পুরোপুরি কাজ করছিল না। এরপর গত মঙ্গলবার নতুন থার্মাল স্ক্যানার বসানো হয়। এর জন্য তিনজন চিকিৎসক ও নার্সকে পরীক্ষক হিসেবে নিয়োজিত করা হয়। কিন্তু একটি নির্দিষ্ট সময় পরে তারা চলে গিয়েছিলেন।
Advertisement
এ ব্যাপারে বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মোহাম্মদ ইব্রাহিম জানান, চিকিৎসক না থাকায় যাত্রীদের আটকে রাখা হয়। এর আগে বিকেলে ঢাকা থেকে আসা বিজি-৫০৫ ফ্লাইটে আসা যাত্রীরাও স্ক্যান না করেই বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। তবে ওই ফ্লাইটে কোনো বিদেশ ফেরত যাত্রী ছিলেন না।
ছামির মাহমুদ/এফএ/এমকেএইচ