ক্যাম্পাস

মধুমাসের আগমনী সুর বাজছে হাবিপ্রবিতে

ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। দুটি মাস নিয়ে প্রতিটি ঋতুর আগমন ঘটে। তারই ধারাবাহিকতায় শীতের আমেজ কাটিয়ে এসেছে বসন্ত। আর এ বসন্তে গাছে গাছে ফুটেছে নানান ফুল, সঙ্গে নতুন পাতা। গুনগুনিয়ে এক ফুল থেকে অপর ফুলে ছুটে চলেছে মৌমাছির দল। সবমিলিয়ে প্রকৃতি সেজেছে এক অপরূপ সাজে। প্রকৃতির এ প্রেমে মজে রচিত হয়েছে অসংখ্য গান, হাজারও কবিতা। বাংলার এই রূপে মুগ্ধ হয়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।

Advertisement

প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বিলম্ব করেনি কৃষকনেতা হাজী দানেশের নামানুসারে প্রতিষ্ঠিত দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)। মধুমাসের আগমনী বার্তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আম গাছগুলো মুকুল দিয়ে নিজেকে সাজিয়েছে বধূ রূপে। আম, জাম, লিচুসহ প্রতিটি ফলজ ও বনজ বৃক্ষে তাই নতুন মুকুলে ছেয়ে গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারপাশ। মুকুলের রঙ আর গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে প্রজাপতি আর মৌমাছিরা ডানা মেলে ছুটছে তার পানে।

ড. এম এ ওয়াজেদ ভবনের পাশে, টিএসসি হতে আইভি রহমান হল, সুফিয়া কামাল হতে ডিভিএম মসজিদ, ভিসি বাসভবন থেকে সেন্ট্রাল মসজিদ ও ছাত্র হলগুলোর পাশে সারি সারি গাছে কেবলই মুকুল শোভা পাচ্ছে। এ যেন সবুজ আর হলুদের সোনামাখা মিশ্রণ। মুকুলে ছেয়ে গেছে প্রতিটি ডালপালা। আবহাওয়া যদি অনুকূলে থাকে তবে দেখা মিলবে চোখ ধাঁধানো আম, জাম আর লিচুর থোকা।

বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে আম্রপালি, ল্যাংড়া, গোপালভোগ, ফজলিসহ দেশি প্রজাতির আমের গাছ। সংখ্যা বেশি হওয়াই অপরিপক্ক অবস্থাতেই ইতি ঘটে এসব ফলের। তাই মামার বাড়িতে না গেলেও পল্লীকবি জসিম উদ্দিনের ‘মামার বাড়ি’ কবিতার মতো আম কুড়ানোর সুখ কেউ মিস করতে চায় না এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা শিক্ষার্থীরা।

Advertisement

বেশিরভাগ সময় ফল পাকার মুহূর্তে সেমিস্টারের বিরতিতে বন্ধ হয় ক্যাম্পাস, শুরু হয় নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা। তাই আর ভাগ্যে জোটে না ক্যাম্পাসের আম-লিচুর স্বাদ নেয়া। এ নিয়ে মধুর আক্ষেপও শোনা যায় কারও কারও মুখে।

এমএসএইচ/জেআইএম