পাওয়া যাচ্ছে কথাসাহিত্যিক ও কবি গাজী সাইফুলের প্রথম উপন্যাস ‘শেষ বিকেলের প্রণয়’। বইটি ২০১৬ সালে তৃতীয় চোখ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়। এবার বইমেলায়ও উপন্যাসটি ভালো সাড়া ফেলেছিল। উপন্যাসটির প্রতি পাঠকের ভালোবাসা লেখককে মুগ্ধ করেছে। এতে প্রেম-অপ্রেম, প্রণয় বা এমন কিছুর কাহিনিচিত্র রয়েছে, যার সঙ্গে জীবন কোথায় মিলে যায় বলা মুশকিল!
Advertisement
লেখকের অনুরাগ মাখা স্মৃতিচারণ, আত্মকথন ও ভালোবাসায় মোড়া এক হারানো অথচ বিশ্বাসের খণ্ড খণ্ড আখ্যানশৈলী খুব নিপুণভাবে গাঁথা হয়েছে উপন্যাসটিতে। শুধু সাবলীল শব্দ বিন্যাস নয়, বইটিতে পাওয়া যাবে লেখকের কবিতার আশ্রয়ে ফুটে ওঠা প্রকাশভঙ্গীর এক অনন্য স্বাদ।
সাইফুল ‘শেষ বিকেলের প্রণয়’র মধ্যদিয়ে সাহিত্যের চৌকাঠে পা রাখলেও সাহিত্যচর্চা করে আসছেন ছোটবেলা থেকেই। লেখকের প্রত্যাশা পাঠকরা ভালবাসা দিয়েই বইটি গ্রহণ করে নেবেন। লেখক বলেন, ‘শেষ বিকেলের প্রণয় আমার প্রথম উপন্যাস। বইটি অনেকটা প্রেম-অপ্রেম ও কল্প যাতনার। এর পেছনে মূলত স্মৃতিচারণাই খুব বেশি কাজ করেছে।’
গাজী সাইফুল বলেন, ‘পৃথিবীর প্রত্যেক পুরুষের জীবনেই একজন কাঙ্ক্ষিত প্রেমিক নারী থাকেন। তবে কোনো এক অব্যক্ত কারণে সে প্রেমিক নারীকে পুরুষ কোনদিনই তার নিজের মত করে পায় না। এ নারীরা বাস্তবে হারিয়ে যায়, তবে হ্যালুসিনেশনে বারবার ফিরে এসে নগ্ন মায়ার এক দোষণীয় স্বপ্নে জড়ায় সে পুরুষকে। যা এ অনাঘ্রাতা রমণীর প্রতি আবেগকে তার শেষ রেখায় মিলিয়ে দেয়। বাড়িয়ে দিয়ে যায় শত বছরের সঙ্গমের অতৃপ্তিকে।’
Advertisement
লেখক আরও বলেন, ‘পুরুষের কাছে কত কাঙ্ক্ষিত এ নারী। ভেতরের কান্না, কষ্ট, দুঃখ কিংবা আনন্দ সব কিছুই কেমন যেন এ নারীতে কেন্দ্রীভূত। কিছু মানুষ আছে যারা হঠাৎ করে আসে আবার হঠাৎ হারিয়ে যায়। তবে সে মানুষটির প্রভাব সারা জীবন বয়ে বেড়ায়। তা-ই কি বিরহ? প্রেম? দগ্ধতার অনল জাতীয় ব্যাপার?’
এসইউ/এমকেএইচ