জাতীয়

রোববার মীর কাসেম আলীর মামলার রায়

মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর মামলার রায় হবে ২ নভেম্বর রোববার। আজ বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এর সদস্য বিচারপতি মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি শাহীনুল ইসলাম এ দিন ধার্য করেন। একই সঙ্গে ওই দিন সকাল ১০টার মধ্যে আসামিকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাব্যবস্থায় কাঠগড়ায় হাজির করার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আটক, অপহরণ, নির্যাতন, হত্যাসহ ১৪টি অভিযোগের ওপর শুনানি কর হয়েছে।জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলী ১৯৭১ সালে মূলত চট্টগ্রাম শহরকে কেন্দ্র করে নির্যাতন ক্যাম্প স্থাপন করে বিভিন্নভাবে স্থানীয় লোকজনের ওপর নির্যাতন চালান। মীর কাসেমের বিরুদ্ধে যে ১৪টি অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। তার মধ্যে আটক, নির্যাতন, হত্যা ও হত্যার পর কর্ণফুলী নদীতে লাশ ভাসিয়ে দেওয়ার মতো ১২টি অভিযোগ তারা প্রমাণ করতে পেরেছে বলে দাবি রাষ্ট্রপক্ষ।রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি তুরিন আফরোজ বলেন, নির্যাতনের যে ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠেছে তা থেকে আমরা সন্দেহাতীতভাবে তার বিরুদ্ধে আনা ১২টি অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছি। তাই আমরা মীর কাসেম আলীর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রার্থনা করেছি। তবে শুনানি শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেছিলেন, প্রসিকিউশন যে সব ডকুমেন্ট দাখিল করেছেন সেখান থেকেই প্রমাণ হয় সেগুলো একটিও তার বিরুদ্ধে টিকে না। যেসব অপরাধের কথা বলা হচ্ছে সেগুলো ৬ নভেম্বর ১৯৭১ সালের ঘটনা। যে সময় মীর কাসেম আলী ঢাকাতে ছিলেন।এদিকে মীর কাসেম আলী জামায়াতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। ইবনে সিনা ট্রাস্টি বোর্ডেরও একজন সদস্য তিনি। এ ছাড়া ইসলামী ব্যাংকের সাবেক পরিচালক ছিলেন জামায়াতের এই নেতা। জামায়াতের নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলীকে গত বছর ১৭ জুন গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ মামলার কার্যক্রম সমাপ্ত ঘোষণা করে রায় অপেক্ষমাণ রাখেন। মামলাটি প্রথমে ট্রাইব্যুনাল-১-এ ছিল। পরে তা ট্রাইব্যুনাল-২-এ স্থানান্তর করা হয়।

Advertisement