দেশজুড়ে

ফেনীতে চীন ও ইতালিফেরত ১০ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে

ফেনীতে বিদেশফেরত ১০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তারা মঙ্গলবার ঢাকায় এসে বুধবার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছান। এরপর তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নিদেশ দেয়া হয়।

Advertisement

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মঙ্গলবার চীন থেকে একজন, ইতালি থেকে আটজন ও কুয়েত থেকে একজন দেশে ফিরেছেন। এদের মধ্যে দুজনের বাড়ি সদর উপজেলায়, দুজনের দাগনভূঞা, দুজনের বাড়ি ছাগলনাইয়া ও অপর চারজনের বাড়ি ফুলগাজী উপজেলায়।

তাদের ব্যাপারে ঢাকায় সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে জানানো হয়। দেশে ফেরার পর তাদের বিমানবন্দরে কোনো ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করেই ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। তাদের কারও শরীরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ নেই বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।

সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হোসেন জানান, ১০ প্রবাসী দেশে ফেরার বিষয়ে জানতে পেরেছি। তারা নিজেরাও সতর্ক এবং সচেতন। আমরা সার্বক্ষণিক তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।

Advertisement

তিনি বলেন, তাদের প্রত্যেককে ১৪ দিন পারিবারিক কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও তাদের ওপর নজর রাখছেন। এর মধ্যে তাদের কারও শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা গেলে সরকারিভাবে সব ধরনের চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে সন্দেহভাজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের নতুন ভবনের তৃতীয় তলায় ১০৫ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট চালু করা হয়েছে।

হাসপাতালের আরএমও ডা. ইকবাল হোসেন ভূঁঞা বলেন, ফেনী জেনারেল হাসপাতালের নতুন ভবনের তৃতীয় তলায় আটটি আলাদা কক্ষ নিয়ে সন্দেহভাজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের জন্য আইসোলেশন সেন্টার করা হয়েছে। আইসোলেশন সেন্টারে ওঠার সিঁড়িও আলাদা রাখা হয়েছে। তবে এখনও কেউ ভর্তি হয়নি।

জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

Advertisement

রাশেদুল হাসান/বিএ