আন্তর্জাতিক

করোনা: আমিরাতে স্কুল বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হচ্ছে অনলাইনে পাঠদান

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে অনলাইনে পাঠদান শুরু করছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটির সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত দেশটির সরকারি, বে-সরকারি সব স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদান অনলাইনে সম্পন্ন হবে। এই সময়ের মধ্যে দেশটির সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুধুমাত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

Advertisement

দেশটির সরকার করোনার বিস্তার ঠেকাতে নতুন এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। যা শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেয়া হতে পারে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আমিরাতি ইংরেজি দৈনিক গালফ নিউজ। এ ব্যাপারে দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয় এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেয়নি। তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দ্রুতগতিতে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঘটতে থাকায় শিগগিরই এই ঘোষণা আসতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

গালফ নিউজ বলছে, সরকারের নতুন এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য ইতোমধ্যে একটি সম্প্রসারিত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে দেশটির কেন্দ্রীয় শিক্ষা এবং প্রশাসনিক দফতরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা রয়েছেন। দূরবর্তী এই শিক্ষাব্যবস্থার জন্য প্রয়োজনীয় বিশেষ সহায়তা দেবে কমিটি।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলাফল নিয়ে বিস্তারিত একটি গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করেছে ওই কমিটি। শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর কি ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে সেব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। সরকারি এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের সময় ধাপে ধাপে সব স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন পাঠদানের ব্যাপারে মূল্যায়ন তুলে ধরবে এই কমিটি।

Advertisement

বসন্তকালীন ছুটি শেষে প্রাথমিকভাবে আগামী ২২ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত এটি শুরু হবে। এই সময়ের মধ্যে অনলাইন পাঠদান অভিজ্ঞতার মূল্যায়নে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রস্তুত করবে কমিটি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য একাডেমিক শিক্ষাবর্ষ শেষ না হওয়া পর্যন্ত দূরবর্তী শিক্ষার শক্তি এবং দুর্বলতাও শনাক্ত করবেন কমিটির সদস্যরা।

তবে ইতোমধ্যে আবুধাবি, দুবাই এবং শারজাহর বেসরকারি স্কুলগুলোতে পরীক্ষামূলকভাবে দূরবর্তী এই অনলাইন পাঠদান শুরু হয়েছে। মিথস্ক্রিয়ামূলক এই পাঠদানের ব্যাপারে ইতোমধ্যে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের কাছে ব্যাখ্যা পাঠিয়েছে স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ।

গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহানে উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আমিরাতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ৫৯ জsন। তাদের মধ্যে দুই বাংলাদেশি প্রবাসীও রয়েছেন। চীনে গত ৭১ দিনে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩ হাজার ১৫৮ জন এবং সংক্রমিত হয়েছেন ৮০ হাজার ৭৭৮ জন। বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১৮ হাজার ২৬৮ জনে।

সূত্র : দ্য গালফ নিউজ, দ্য ন্যাশনাল।

Advertisement

এসআইএস/জেআইএম