নিঃসন্দেহে জীবনের সেরা ফর্মে রয়েছেন বাংলাদেশ দলের ড্যাশিং ব্যাটসম্যান লিটন দাস। একমাত্র টেস্ট থেকে শুরু করে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত- রানের ফোয়ারা ছুটিয়েছেন এ ডানহাতি স্টাইলিশ ব্যাটসম্যান। যার সুবাদে মিলেছে দারুণ স্বীকৃতিও। ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টিতেও সিরিজসেরা নির্বাচিত হয়েছেন লিটন।
Advertisement
একমাত্র টেস্টে ৫৩ রানের ইনিংস খেলার পর ওয়ানডের তিন ম্যাচে তার ইনিংসগুলো যথাক্রমে ১০৫ বলে অপরাজিত ১২৬*, ১৪ বলে ৯ ও দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ১৪৩ বলে ১৭৬ রান। এই ফর্ম তিনি ধরে রেখেছেন টি-টোয়েন্টিতেও, খেলেছেন ৫৯ ও ৬০* রানের দুই ইনিংস।
সবমিলিয়ে তিন সিরিজের ৬ ইনিংসে পাঁচ ফিফটির সাহায্যে ৪৮৩ রান, গড় ১২০.৭৫! যে ম্যাচে পঞ্চাশ পেরোতে পারেননি, সেটিতে হয়েছিলেন দূর্ভাগ্যজনক রানআউট। নচেৎ নিশ্চিতভাবেই ছয় ইনিংসে ৫০০ রান করে ফেলতে পারতেন লিটন।
ওয়ানডে সিরিজে লিটনের মতো জোড়া সেঞ্চুরি এসেছিল তামিমের ব্যাট থেকেও। লিটন তিন ম্যাচে যেখানে করেছিলেন ৩১১ রান, সেখানে তামিমের ব্যাটের মোট রান ছিলো ৩১০। ফলে দুজনকে যুগ্মভাবে সিরিজসেরার পুরস্কার দেয়া হয়েছিল সেবার।
Advertisement
তবে টি-টোয়েন্টিতে আর কারও সঙ্গে ভাগাভাগি নয়। দুই ম্যাচে ১১৯ গড়ে ১১৯ রান করার সুবাদে সিরিজসেরার পুরষ্কারটা এককভাবেই জিতেছেন লিটন। প্রথম ম্যাচে ম্যাচসেরার পুরস্কার সৌম্য সরকার জিতলেও, দ্বিতীয় ম্যাচে এটিও পেয়েছেন লিটন। সবমিলিয়ে দারুণ ফর্মের পুরস্কারটাও হাতেনাতেই পেয়েছেন লিটন।
নিজের এমন সাফল্যের পর পুরস্কার গ্রহণ করতে এসে লিটন বলেন, ‘সৃষ্টিকর্তার সাহায্য ছাড়া কোনোকিছুই সম্ভব হতো না। আমি অনুশীলনে পরিশ্রম করেছি, এ প্রক্রিয়াটাই আমাকে এগিয়ে দিয়েছে। এছাড়া কোচিং স্টাফকেও ধন্যবাদ দিতে চাই। তারা আমার ব্যাটিংয়ে বাড়তি মনোযোগ দিয়েছে। যা অনেক সাহায্য করেছে আমাকে।’
এসএএস/এমকেএইচ
Advertisement