কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে সন্দেহে বিদেশফেরত ৩৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে ৩২ জন পুরুষ, দুজন নারী।
Advertisement
হোম কোয়ারেন্টাইনের প্রধান পর্যবেক্ষক হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পৌর ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সহকারীরা। করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক তাদের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেয়া হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, সোমবার ১১ জনকে ভৈরবে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। মঙ্গলবার ১৩ জন ও বুধবার ১০ জনকে রাখা হয়। তাদের প্রত্যেকের বাড়ির পৃথক কক্ষে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে থাকবেন তারা। এ সময় তাদের বাইরে চলাফেরা ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মেলামেশা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদেরও চলাফেরা সীমিত করা হয়েছে।
হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের পর্যবেক্ষণে থাকা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সহকারী হুমায়ুন কবির বলেন, সবাইকে যথাযথ নিয়মের মধ্যে রাখা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরাও সচেতন আছেন। ফলে সমস্যা হচ্ছে না।
Advertisement
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ বলেন, হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের বেশির ভাগই ইতালিফেরত। তাদের বিষয়ে আমাদের নির্দেশনা স্পষ্ট। সবাইকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ঘরের নির্দিষ্ট কক্ষে থাকতে হবে। ব্যতিক্রম হলে পুলিশ ডাকারও সুযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির ব্যবস্থাপনায় ৫০ শয্যার একটি আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত করা হয়েছে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া স্থানে নির্মাণাধীন ট্রমা সেন্টারে আইসোলেশন ইউনিট খোলা হয়েছে। করোনাভাইরাসের ঝুঁকি আছে এমন লোকজনকে আইসোলেশন ইউনিটে রাখার চিন্তা রয়েছে আমাদের।
এএম/এমকেএইচ
Advertisement