করোনাভাইরাস প্রতিরোধে শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমানবন্দরে বিদেশফেরত যাত্রীদের নিয়মিত হেলথ স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করার আগে প্রত্যেক যাত্রীকে থার্মাল স্ক্যানার কিংবা হ্যান্ডহেল্ড ইনফ্রারেড থার্মোমিটার দিয়ে জ্বর মাপার পাশাপাশি বাধ্যতামূলকভাবে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের কাছে হেলথ কার্ড ও হেলথ ডিক্লারেশন ফরম পূরণ করে জমা দিতে হচ্ছে। যাত্রীদের অভিযোগ ফ্লাইটে দীর্ঘ ভ্রমণের ক্লান্তি নিয়ে বিমানবন্দরে নামার পর তাদেরকে হেলথ স্ক্রিনিংয়ের জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয়। তবে মঙ্গলবার (১০ মার্চ) বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এক বৈঠকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা দ্রুত জনবল বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
Advertisement
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯সালের ডিসেম্বেরের শেষ সপ্তাহে চীনের উহান সিটিতে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার পর চলতি বছরের ২১জানুয়ারি থেকে শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমানবন্দরে বিদেশফেরত যাত্রীদের হেলথ স্ক্রিনিং শুরু হয়।
শুরুর দিকে শুধু চীনফেরত যাত্রীদের হেলথ স্ক্রিনিং করা হলেও পরবর্তীতে সব ফ্লাইটের যাত্রীদের স্ক্রিনিং শুরু হয়। শুরুর দিকে অল্প কয়েকজন ডাক্তার ও নার্স থাকলেও পরবর্তীতে জনবল বৃদ্ধি করা হয়। বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২২ জন ডাক্তার, ১০ জন নার্স, ১৮ জন স্যানিটারি ইন্সপেক্টর, ৪ জন অফিস সহায়ক ও ৩ জন ড্রাইভার রয়েছে। ডাক্তার ও নার্সসহ ৫৫ জন জনবল কাজ করলেও প্রতিদিন অন্তত পাঁচ হাজার যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হয় তাদের। এত যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার চাপ সামলাতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
বিমানবন্দরে কর্মরত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.শাহরিয়ার সাজ্জাদ জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, বিভিন্ন ফ্লাইটে যাত্রীদের কাছে হেলথ কার্ড ও হেলথ ডিক্লারেশন ফরম বিতরণ ও তাদের দিয়ে কার্ড দু’টি পূরণ করিয়ে রাখার কথা থাকলেও বেশকিছু ফ্লাইটে এ কার্ড দু’টি পূরণ না করানোর ফলে যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
Advertisement
ইমিগ্রেশনের আগে ফ্লাইটের যাত্রী তালিকা দেখে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে হেলথ কার্ড ও হেলথ ডিক্লারেশন ফরম সংগ্রহ করেন। এ সময় অনেকে ফরম পূরণ না করায় তাদের দিয়ে ফরম পূরণ করিয়ে জমা নিতে বিলম্ব হয়। রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে এ দুটি কার্ড বিতরণ ও যাত্রীদের দিয়ে তা পূরণ শেষে জমা নেয়ার ক্ষেত্রে গাফিলতি রয়েছে বলে জানা গেছে।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গৃহীত কার্য়ক্রমের ফলোআপ হিসেবে মঙ্গলবার শাহজালাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সকল এয়ারলাইন্স এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বেঠকে বসেন। ওই বেঠকে এয়ারলাইন্সগুলোকে হেলথ কার্ড ও হেলথ ডিক্লারেশন ফরম বিমান ক্রুদের মাধ্যমে বিতরণ ও তা সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের কাছে জমা দেয়ার তাগিদ দেয়া হয়। একই বৈঠকে যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে ডাক্তার ও নার্সসহ জনবল বৃদ্ধির দাবি ওঠে। সভায় উপস্থিত স্বাস্থ্য বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা দু-এক দিনের মধ্যে আরও জনবল নিয়োগ দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
এমইউ/এমএফ/পিআর
Advertisement