বিশ্বজুড়ে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস প্রতিরোধে রাজনৈতিক নেতৃত্ব বুলি আওড়ালেও যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) পরিচালক জানিয়েছেন, তাদের স্বাস্থ্য ল্যাবরেটরিগুলো কর্মী সংকটে ভুগছে। নেই পরিস্থিতি মোকাবিলার মতো পর্যাপ্ত সরঞ্জামও।
Advertisement
মঙ্গলবার (১০ মার্চ) দেশের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের ল্যাব বা এ জাতীয় প্রতিষ্ঠানে ৮ হাজার ৫৫৪ জনের করোনা-সংক্রান্ত টেস্ট হয়েছে জানিয়ে সিডিসির পরিচালক রবার্ট রেডফিল্ড সংকটের এ চিত্র তুলে ধরেন।
যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস সংক্রমণের তথ্য জানার পর থেকেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করে আসছেন, তার সরকার করোনাভাইরাস মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে। এমনকি ‘গ্রীষ্মকালে করোনাভাইরাস এমনিতেই চলে যাবে বলেও’ এক তত্ত্ব দেন তিনি।
যদিও ভিন্ন কথা বলছে পরিস্থিতি। বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী যুক্তরাষ্ট্রে এরই মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৯৫ জন। এদের মধ্যে ২৮ জন মারাও গেছেন। নিউইয়র্কসহ একাধিক অঞ্চলের অবস্থা বেশ নাজুক। নিউইয়র্কে একটি এলাকাকে বিশেষ জোন ঘোষণা করে সেখানে সেনা মোতায়েনও করা হয়েছে।
Advertisement
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে দেশজুড়ে সন্দেহভাজনদের টেস্টের আওতায় আনা হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকছে না বলেই ইঙ্গিত মেলে সিডিসি পরিচালকের কথায়।
সিডিসির বাজেট বিষয়ে সংসদীয় সাব-কমিটির এক সভায় রবার্ট রেডফিল্ড বলেন, সত্য কথা হলো, আমরা (ভাইরাস মোকাবিলায়) বিনিয়োগ করিনি। জনস্বাস্থ্যবিষয়ক ল্যাবগুলোতে আমাদের বিনিয়োগ হয়েছে প্রয়োজনের তুলনায় কমই। নেই প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, নেই জনবল, নেই স্বল্পপরিসর কিংবা বড় পরিসরের সক্ষমতা।
তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রে যারা আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের বেশিরভাগেরই সম্প্রতি চীনে যাওয়ার কোনো নজির নেই। এখন করোনা ছড়ানোর মূল কেন্দ্র অর্থাৎ নতুন চীন হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে ইউরোপ। আক্রান্তদের বেশিরভাগই ইউরোপফেরত। আমরা এখন আক্রান্তদের চলাফেরার অতীত এবং তাদের সঙ্গে কারা মিশেছে তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। যেন তাদের স্বাস্থ্যবিধির আওতায় আনতে পারি।
চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ১৬ হাজার ৬০০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৪ হাজার ২৫৮ জন। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৬৪ হাজার ২১৪ জন।
Advertisement
এইচএ/পিআর