৬৯ ঘণ্টা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছিলেন। অবশেষে সেখান থেকে তাকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। পূর্বাঞ্চলীয় ফুজিয়ান প্রদেশের একটি পাঁচতলা হোটেলকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। শনিবার রাতে ওই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার ধসে পড়ার পর প্রায় ৭০ জন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েন।
Advertisement
ওই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত ৪১ জনকে সেখান থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই ভবনটি বহুবার অবৈধভাবে পুনর্নিমাণ করা হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত ধ্বংসস্তূপের নিচে নয়জন আটকা পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ওই হোটেলে ৬৬টি রুম ছিল। এদিকে, মঙ্গলবার রাতে অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। শিনহুয়া নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, দুর্ঘটনার প্রায় তিনদিন পর তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হলো।
উদ্ধারের পর ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে, ১২ বছর বয়সী এক শিশু জরুরি উদ্ধারকর্মীদের জানিয়েছে যে, তার মা এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছে। পরে তার কাছ থেকে তথ্য নিয়ে তার মাকে ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
Advertisement
জরুরি ব্যবস্থাপণা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্থানীয় প্রায় ২শ এবং ফুজিয়ান প্রদেশের ৮শ দমকলকর্মীকে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে। একই সঙ্গে ১১টি উদ্ধার ও তল্লাশি টিম ও সাতটি উদ্ধারকারী কুকুরও ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। চীনে প্রায়ই ভবনধসের ঘটনা ঘটে। এর আগে ২০১৬ সালে পূর্বাঞ্চলীয় ওয়েনঝু শহরের একটি ভবনধসের ঘটনায় কমপক্ষে ২০ জনের মৃত্যু হয়।
টিটিএন/পিআর