জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী শরীয়তপুরের অন্তত দেড় লাখ মানুষ প্রবাসে থাকেন। তাদের অধিকাংশই ইতালিতে বসবাস করেন। এর মধ্যে নড়িয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের রয়েছেন প্রায় ৭২ শতাংশ। ইতালি প্রবাসীরা নিয়মিত নড়িয়ায় যাতায়াত করছেন। তবে সম্প্রতি করোনাভাইরাসের সংক্রমণে এসব প্রবাসীদের নিয়ে উদ্বিগ্ন তাদের পরিবার ও এলাকাবাসী।
Advertisement
গত এক সপ্তাহে ইতালির বিভিন্ন শহর থেকে নড়িয়ায় এসেছেন এমন সাত ব্যক্তির সঙ্গে কথা হয়। তাদের সবার অভিজ্ঞতাই প্রায় এক রকম। ইতালিতে করোনাভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া ও দু’জন ইতালিফেরত ব্যক্তির বাংলাদেশে এসে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবরে ইতালিতে বসবাসরত প্রবাসীদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা গেছে। দেশে এসেও এলাকায় বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ছেন এসব প্রবাসী।
নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর ইউনিয়নের এক বাসিন্দা ইতালির তুরিন শহরে থাকেন। ১ মার্চ এক মাসের ছুটিতে গ্রামে এসেছেন। তিনি বলেন, আমার শরীর ভালো আছে। বিমানবন্দরে আমাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়নি। কিন্তু গ্রামে আসার পর কিছুটা বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছি। আমি এসেছি জেনে কোনো আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধব দেখা করতে আসেনি। বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে বেশির ভাগ সময়ই বাড়িতে থাকছি।
এদিকে শরীয়তপুরে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের জন্য আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। তবে এখনও পাওয়া যায়নি করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ যন্ত্র। সপ্তাহখানেক আগে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ যন্ত্র চেয়ে আবেদন করেছে শরীয়তপুর সিভিল সার্জন কর্তৃপক্ষ।
Advertisement
শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন আব্দুল্লাহ আল মুরাদ বলেন, কোনো ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হলে বা উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত তাকে চিকিৎসার আওতায় নেয়ার জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঁচ শয্যার ও প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঁচ শয্যার করে আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। এছাড়া কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্য ১০০ শয্যা প্রস্তুত করার কাজ চলছে।
তিনি বলেন, ইতালি থেকে শরীয়তপুরে যারা এসেছেন তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলব। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা তাদের খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। এছাড়া আক্রান্ত লোকজনের আইসোলেশনে রাখার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, জেলায় ৬টি উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ৩টি ওয়ার্ড রয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে রেজিস্ট্রার রাখা হয়েছে যারা বিদেশ থেকে আশা লোকজনের লিস্ট তৈরি করবেন।
ছগির হোসেন/এফএ/পিআর
Advertisement