ভারতে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে আক্রান্তদের শরীরে এইডসের ওষুধ লোপিনাভির ও রিটোনাভির সংমিশ্রণ প্রয়োগ করা হচ্ছে। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত দুই ইতালি নাগরিকের শরীরে এই ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছে। এ সংমিশ্রণ এইচআইভির দ্বিতীয় সারির ওষুধ বলে বিবেচিত।
Advertisement
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, রোগীদের অনুমতি নিয়েই এই ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের অনুমোদনের ভিত্তিতে করোনা আক্রান্তদের শরীরে লোপিনাভির ও রিটোনাভির সংমিশ্রণ প্রয়োগ করা হয়।’
জরুরিকালীন ভিত্তিতেই এই সংমিশ্রণ প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। নিয়ম অনুযায়ী রোগীদের অনুমতির ভিত্তিতে এই ওষুধ প্রয়োগ করা হয়, যা জয়পুরে করোনায় আক্রান্ত দুই ইতালি নাগরিকের শরীরে প্রয়োগ করা হলো।
খবরে বলা হয়- ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, জয়পুরে ৬৯ বছর বয়সী বৃদ্ধ ইতালি নাগরিক ও তার স্ত্রীর শরীরে করোনারভাইরাস শনাক্ত করা হয়। তাদের পৃথক ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়েছে। ক্রমশ সেরে উঠছেন তারা। তাদের জ্বর প্রায় নেই। শ্বাস নিতে অক্সিজেনের তেমন প্রয়োজন পড়ছে না। আগামী ১০ দিনের মধ্যেই এই বৃদ্ধ দম্পতি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
Advertisement
এইডসের ওষুধের বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, ‘সবেমাত্র এই ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছে। তাই এর কার্যকারিতা সম্পর্কে এখনই কিছু বলা যাবে না। চীনে এর আগে এই ওষুধের প্রয়োগ হয়েছে। তাই এটা নতুন কিছু নয়। তবে, এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। রোগীর সম্মতিতেই এই ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছে।’
গত ২৬ জানুয়ারি ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাবভিআই জানায়, চীনা স্বাস্থ্য কমিশন করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে এইডসের ওষুধ ব্যবহার করে পরীক্ষা চালাচ্ছে।
এদিকে গত ৫ মার্চ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্পেনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক রোগী এইডস (এইচআইভি) রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ খেয়ে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে গেছেন।
জেডএ/পিআর
Advertisement