আন্তর্জাতিক

করোনায় আক্রান্ত যুক্তরাজ্যের জুনিয়র স্বাস্থ্যমন্ত্রী

যুক্তরাজ্যের জুনিয়র স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও কনজারভেটিভ পার্টির সংসদ সদস্য (এমপি) নাডাইন ডরিস করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। দেশটির প্রথম কোনো এমপি হিসেবে ডরিসই এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন।

Advertisement

চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুসারে তিনি এখন নিজের বাসভবনে সেল্ফ-আইসোলেশনে (বিচ্ছিন্নভাবে বসবাস) আছেন। সেখানেই তাকে সেবা দিচ্ছেন সরকারি চিকিৎসকরা।

যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাস ছড়ানোর পর এখন পর্যন্ত ৩৮২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৬ জন। সবশেষ মারা যান ৮০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। তিনি আগে থেকেই স্বাস্থ্যের নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।

যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, গত ৫ মার্চ ডরিসের প্রথম করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা যায়। সেদিন তিনি প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বাসভবন ডাউনিং স্ট্রিস্টে তার সভাপতিত্বে একটি সভায় অংশ নেন। ৬ মার্চ সেলফ-আইসোলেশনে (বিচ্ছিন্নভাবে থাকা) চলে যান ডরিস।

Advertisement

তবে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ডরিস স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দফতরে কতোটি সভায় অংশ নিয়েছেন বা কাদের সঙ্গে মিশেছেন তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এছাড়া ডরিসের সঙ্গে সভায় অংশ নেয়ার কারণে প্রধানমন্ত্রী জনসনেরও করোনা টেস্ট হয়েছে কি-না, তা জানায়নি তার বাসভবন।

তবে ৬২ বছর বয়সী ডরিস এক বিবৃতিতে জানান, ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার আগে তিনি কাদের সঙ্গে মিশেছেন, তাদেরও কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনতে কাজ শুরু করেছে জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান এনএইচএস।

নিজের ৮৪ বছর বয়সী মাকে নিয়ে চিন্তিত জুনিয়র এই স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, উপসর্গ দেখা দেয়ার আগে মা আমার সঙ্গেই ছিলেন। মঙ্গলবার থেকেই তাকে কাশতে দেখা যায়।

Advertisement

এদিকে এনএইচএস বলেছে, তারা সন্দেহভাজনদের শনাক্ত করতে পরীক্ষার পরিসর বাড়াচ্ছে। এখন প্রতিদিন দেড় হাজার মানুষের করোনা টেস্ট হলেও সামনে প্রত্যহ ১০ হাজার নাগরিককে টেস্টের আওতায় আনা হবে।

চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ১৬ হাজার ৬০০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৪ হাজার ২৫৮ জন। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৬৪ হাজার ২১৪ জন।

এইচএ/পিআর