ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর মাস্টারপাড়ায় ইতালিফেরত স্বামী-স্ত্রীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তবে তাদের শরীরে করোনার লক্ষণ পাওয়া যায়নি।
Advertisement
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৭ মার্চ ওই দম্পতি ইতালি থেকে ফিরে যশোরের চৌগাছা শহরে নিজ বাড়িতে চলে যান। সোমবার (৯ মার্চ) রাত ৯টার দিকে ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর মাস্টারপাড়ায় স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে আসেন স্বামী। এরপর বিষয়টি মঙ্গলবার জানাজানি হলে দুপুর থেকে একজন স্বাস্থ্য সহকারীর তত্ত্বাবধানে তাদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়।
এদিকে শহরের খন্দকার পাড়ায় এক কাস্টমস ইন্সপেক্টরের জার্মানফেরত ছেলের বিষয়েও খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। তিনি কাজের জন্য বেশ কয়েক বছর আগে ইতালি গিয়েছিলেন। সেখান থেকে জার্মান চলে যান। পরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ঝিনাইদহের বাসায় ফিরে আসেন।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম বলেন, ইতালিফেরত দম্পতির শরীরে করোনার লক্ষণ নেই। তাদের ইতালির স্বাস্থ্য কার্ড থাকলেও সতর্কতা হিসেবে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে একজন স্বাস্থ্য সহকারীর তত্ত্বাবধানে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের নির্দেশনা দিয়ে এসেছি কীভাবে ওই দম্পতির সঙ্গে কাজ করতে হবে। অন্যদিকে হামদহ খন্দকার পাড়ার জার্মানফেরত এক যুবকের বিষয়েও খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে মানুষকে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন থাকাসহ নানা সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালাচ্ছি। সবার আগে মানুষকে সচেতন হতে হবে, তাহলেই এ ভাইরাস প্রতিরোধ সম্ভব। কেননা আতঙ্ক মানুষকে বিভিন্ন রোগের দিকে ঠেলে দেয়। তাই আতঙ্কিত কেউ হবেন না।
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/আরএআর/পিআর