বিএনপিসহ এতদিন যারা লজ্জা পেতেন তাদের সবাইকে এখন থেকে জয় বাংলা স্লোগান দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, জয় বাংলা কোনো দলের স্লোগান নয়, এটা আমাদের মুক্তির স্লোগান। এ স্লোগান দিতে যাদের লজ্জা লাগে, এই রায়ের পর তাদের সেই লজ্জা আর থাকবে না।
Advertisement
মঙ্গলবার (১০ মার্চ) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা সবাই জানেন মহামান্য হাইকোর্ট আজকে একটি রায় দিয়েছেন। জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান হিসেবে গ্রহণ করার জন্য। এ রায় একটি কাঙ্ক্ষিত রায়, এ রায়কে আমরা স্বাগত জানাই। এখন যাদের জয় বাংলা স্লোগান দিতে লজ্জা লাগে তাদেরও জয় বাংলা স্লোগান দেয়া উচিত। দেশের আইন ও আদালতের প্রতি সম্মান রেখে এবং দেশের স্বাধীনতার প্রতি সম্মান রেখেই এ স্লোগান দেয়া উচিত।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধ ও স্বাধিকার আদায়ের মূল স্লোগান ছিল জয় বাংলা। জয় বাংলা ছিল আমাদের মুক্তির স্লোগান, এটা কোনো দলের নয়। সুতরাং এ স্লোগান দিতে যাদের লজ্জা লাগে হাইকোর্টের রায়ের পর আমি আশা করবো তাদের সেই লজ্জা আর থাকবে না। তারা জয় বাংলা স্লোগান দেবেন। বিএনপিসহ সবাই এখন জয় বাংলা স্লোগান দেবেন।
Advertisement
উল্লেখ্য, ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করে রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তি শেষে মঙ্গলবার (১০ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন। রায়ে আদালত বলেন, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সর্বস্তরের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান বলতে ও দিতে হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করার লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে, দলের পক্ষ ও পুরো দেশবাসীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন রাজনৈতি, সামাজিক সংগঠন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করেছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী জনস্বার্থের কথা চিন্তা করে সেই অনুষ্ঠান সঙ্কুচিত করেছেন।
এসব অনুষ্ঠান পুনর্বিন্যাস করতে বলেছেন। কোনো অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়নি। বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে, বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর এ অনুষ্ঠানগুলো পুনর্বিন্যাস করা হচ্ছে মাত্র। কোনো অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়নি বলেও জানান তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব নেতারা বাংলাদেশে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে আসার জন্য সম্মতি দিয়েছিলেন এবং নিশ্চিত করেছিলেন। ভারতের সরকারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর নিশ্চিত ছিল, এ ব্যাপারে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল।
Advertisement
এমইউএইচ/এনএফ/জেআইএম